বিশেষ প্রতিনিধিঃ
তিন প্রজন্ম ধরে বালুনদীর তীরবর্তি বালুরপাড়, নয়ামাটি, ইদারকান্দি, ফকিরখালির এলাকায় বসবাস শতাধিক মানুষের । বি আই ডব্লিউ টি এ দাবি করছে নদীর জায়গায় বাড়ি ঘর বানানো হয়েছে । সি এস,এস এ ও আর এস জমি মালিক তারা ক্ষতিগ্রস্থ লোকেদের আবেদন/বক্তব্য, উক্ত এলাকার লোকজন কয়েক শত বছর পূর্ব হতে বালুনদীর তীরবর্তি স্থানে বসবাস করে আসিতেছে । সেই মোতাবেক বংশ পরম্পরায় আমাদের পূর্ববর্তী ও আমাদের নামে সি এস রেকড বাড়ী, এস এ রেকর্ড বাড়ী,আর এস রেকর্ড বাড়ী ও মহানগর রেকর্ড বাড়ী হিসাবে মালিকানা রেকর্ড ভূক্ত হয়েছে। এই রেকর্ড সমূহের মূলে আমরা বালুনদীর তীরবর্তি বাড়ী ও ভূমির মালিক হয়ে একশত বছরের উপরে ভূমির নামজারী ও খাজনা দিয়ে ঘর বাড়ী, দালান কোঠা করে পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে বসবাস করে আসতেছি। এমতাবস্থায় গত ২০১২ সালে আমাদের সি এস রেকর্ডিয় ভূমি ও বসতবাড়ীর কোন জায়গায় পঞ্চাশ ফুট, কোন জায়গায় চল্লিশ ফুট নদীর সিমানা পিলার স্থাপন করে । আমরা শত বাধা দেওয়ার পরও আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে সিমানা পিলার স্থাপন করে যায়। মৌখিক ভাবে বলে যায় আমরা যেন সিমানা পিলারের ভিতরে কোন স্থায়ী স্থাপনা তৈরি না করি । স্থায়ী স্থাপনা তৈরি করলেও যেন সিমানা পিলারের বাহিরে করি । গত কয়েক বছরে একাধিক বার সিমানা পিলারের ভিতরে আমাদের পূর্বে তৈরি করা স্থায়ী, আস্থায়ী স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়। এতে আমরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হই। বর্তমানে বি.আই.ডাব্লিউ.টি.এ. আমাদের রেকর্ডিও বাড়ী ও ভূমির অভ্যন্তরে পূর্বের সিমানা পিলার হতে কোন জায়গায় ত্রিশ ফুট কোন জায়গায় চল্লিশ ফুটের অধিক আমাদের বাড়ী ভূমির অভ্যান্তরে নতুন সিমানা পিলার স্থাপন করিতেছে। এতে করে আমাদের সিএস রেকর্ডিয় মালিকানা হতে সত্তর ফুট /নব্বই ফুট ভূমি বাড়ীর জায়গা নদী সিমানা পিলারের ভিতরে চলে যাচ্ছে। বর্তমান সিমানা পিলার স্থাপন করা হলে যাহা আমাদের জায়গা বলে দাবি করতে পারবো না। এই সিমানা পিলার স্থাপনে আমরা নিষেধ করলেও তারা মানিতেছে না। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের কাছে তথা রাষ্ট্রের কাছে আমাদের আকুল আবেদন এই অবৈধ নদীর সিমানা পিলার স্থপনা বন্দ করা হউক। নদীর সিমানা পিলার স্থপনা বন্দ করা না হলে শত শত পরিবার পথে বসবে তাই এলাকাবাসী দাবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাতে অপূরনিয় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করেন ।
বিনীত নিবেদক বালুনদীর তীরবর্তি ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসি বৃন্দ ।