২০২৩ সালের মধ্যে বাসাবাড়িতে কার্যকর পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর ডিএনসিসি নগর ভবনে আয়োজিত দুদিন ব্যাপী চলমান ‘নিরাপদ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় শেষদিনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
মেয়র আতিক বলেন, লেকগুলো দূষিত, খালগুলো দূষিত, বৃষ্টির পানি নামার সাধারণ নর্দমা দিয়ে মানুষের পয়োবর্জ্য খালে ও লেকে গিয়ে পতিত হয়। এটা রাজধানীবাসীর জন্য বিরাট স্বাস্থ্যঝুঁকি। এটা আর চলতে দেওয়া যায় না।
এসময় হুঁশিয়ারি দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের পর খালে বা সার্ফেস ড্রেনে পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের সংযোগ পাওয়া গেলে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ডিএনসিসি আওতাধীন খালসমূহ ২০২৪ সালের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক খালে রূপান্তর করা হবে। এটি করতে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা। জনসচেতনা তৈরি করে এটি করতে হবে। লেক ও খালগুলোকে আমরা রোগ জীবাণু ছড়ানোর কারখানায় পরিণত করতে পারি না।
‘বিগত সময়ে আমরা জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে খালে প্রাপ্ত বাসাবাড়ির পরিত্যক্ত বর্জ্যের প্রদর্শনী করেছি, আমার এর পুনরাবৃত্তি চাই না। প্রাণের শহর ঢাকার খালগুলো ডাস্টবিন বানানো যাবে না’
তিনি আরও বলেন, কর্মশালায় ১৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া প্রদর্শনী ও প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে আমরা আধুনিক পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, স্টলগুলো প্রদর্শন করে আমার মনে হয়েছে আধুনিক প্রক্রিয়ায় আমরা নিরাপদ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করে ঢাকা শহরের পরিবেশকে রক্ষা করতে পারবো।
সাংবাদিক মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, ইউনিসেফের ওয়াশ বিভাগের প্রধান জাইদ জুরজি, রাজউকের চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা।