মিনি, আদর, পুষি, জোজো, টুকু, টাইগার নাম ধরে ডাকলেই ঘাড় ফিরিয়ে সাড়া দেয়। চোখ বড় বড় করে থাকায়।
একটি বিড়ালের চোখে চশমা। আরেকটি বিড়ালের গলায় ঘণ্টা। পরনে দামি বেল্ট, বাহারি সাজ সজ্জা তো আছেই। কেউ বিড়ালকে আদর করছেন। কেউবা আবার ব্যস্ত সেলফিতে। দেশি-বিদেশি বাহারি জাতের শতাধিক বিড়ালের মেলা হয়ে গেল চট্টগ্রামে।
শুধু প্রদর্শনী, র্যাম্প শো নয় বিনামূল্যে এসব বিড়ালের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে পরামর্শ।
নগরের খুলশীর ওয়ারলেস মোড়ে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ছোট্ট পরিসরে বিড়াল প্রদর্শনীর আয়োজন করে বার্ডস অ্যান্ড পেট অ্যানিম্যাল ক্লিনিক। আয়োজকরা জানিয়েছেন, বিড়াল ছোট বড় সবাইকে আনন্দ দেয়। ইঁদুর খেয়ে খাদ্যশস্য, গৃহস্থালি সামগ্রী ও দোকানের পণ্যসামগ্রী সুরক্ষায় সাহায্য করে। মূলত বিড়ালের প্রতি মানুষের ভালোবাসা বাড়াতে এ প্রদর্শনীর আয়োজন।
তবে বিড়াল নিয়ে প্রদর্শনীতে আসা কয়েকজন জানান, ছোট্ট পরিসরে অনেক দর্শক সমাগম হওয়ায় পোষা বিড়ালরা অস্বস্তিত্বে পড়ে। তার ওপর তীব্র গরম ছিল প্রদর্শনীতে। ভবিষ্যতে খোলা মাঠে বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করলে ভালো হয়।
কোলে নিজের পোষা বিড়াল নিয়ে এসেছেন কলেজছাত্র অনিক চৌধুরী। তিনি বলেন, বিদেশি বিড়ালের পাশাপাশি দেশি বিড়ালও আছে আমার। একেকটি বিড়ালের বৈশিষ্ট্য আলাদা। তাদের পছন্দের খাবার, যত্নও আলাদা। আশার কথা হচ্ছে চট্টগ্রামে পোষা পশু-পাখির চিকিৎসার জন্য হাতের কাছে সিভাসু আছে।
র্যাম্প শোতে দেশি-বিদেশি জাতের ১৫টি বিড়াল অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে সেরা তিনটি পুরস্কারের জন্য মনোনিত হয়েছে। বিচার কাজ পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ভজন চন্দ্র দাস, ড. মোহাম্মদ ইউসুফ এলাহী চৌধুরী ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো, রিদওয়ান পাশা।
প্রদর্শনীতে শতাধিক পোষা বিড়ালের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বার্ডস অ্যান্ড পেট অ্যানিম্যাল ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. সাদ্দাম হোসেন।