অনুসন্ধানী প্রতিবেদনঃ
মোহাম্মদ রবিউল আলম, অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (টিএমপিটিআই), ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, যিনি কিছুদিন আগেও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে-বেনামে একাধিক প্লট-ফ্ল্যাট, বিলাসবহুল গাড়ি ও ব্যাংক ব্যালেন্সের মাধ্যমে গড়ে তুলেছে আয় বহির্ভূত সম্পদের পাহাড় । সরেজমিন অনুসন্ধানে রাজধানীর বনানী (ঠিকানা: রোড-২৫/এ, বাড়ি-৯৮, ২য় তলা) এবং উত্তরায় (ঠিকানা: ফ্ল্যাট-৪ বি, প্লট-৪৩, রোড-৪, সেক্টর-৪) বিলাসবহুল ২টি ফ্ল্যাট এবং বিলাসবহুল গাড়ি পাওয়া গেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় রাজধানীর ধানমন্ডি ও শান্তিনগরে রয়েছে তার একাধিক ফ্লাট। গ্রামের বাড়িতে রয়েছে বিঘায় বিঘায় জমি ও মাছের ঘের। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকালীন সময় রবিউল আলম এর বিরুদ্ধে নানা সময় নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠতো বলে সূত্রটি জানায়। ঠিকাদারদের জিম্মি করে কমিশন গ্রহণের মাধ্যমে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যায় রবিউল আলম। আরও জানা যায় নানান কারণে তাকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ছেড়ে চলে আসতে হয় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষে। আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ নিয়ে রবিউল আলমের বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি নিজেকে শতভাগ সৎ অফিসার বলে দাবি করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখিত দুটি বাড়ির মালিক তিনি নন বলে দাবী করেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট দাযিত্বশীল কর্তিপক্ষ নিশ্চয় দুটি বাড়ির উল্লেখিত ফ্ল্যাটের মালিক ব্যক্তিকে খুজে বের করবেন।এছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং কর ও সরকারের রাজস্ব করের আওয়াতায় বাড়ি দুটির উল্লেখিত ফ্ল্যাট দুটি চিহ্নিত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন।