নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজ এলাকায় প্রতিদিন রণক্ষেত্র হতো। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভুলে গেছেন তার প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজের আশপাশের পরিস্থিতি। সরকার তো সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিএনপির আমলের মতো রণক্ষেত্র হয়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগের ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে তখন একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। দেশকে বিশ্বের কাছে হেয় করতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সুনাম নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন। সে জন্য বারবার জনগণের সমর্থন নিয়ে তিনি ক্ষমতায় আছেন। বিশ্বে তার সততার সুনাম আছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বিশ্বের বিস্ময়। অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে।
বিএনপি নেতাদের বড় বড় কথা না বলে আগামী নির্বাচনের এজেন্ডা নিয়ে জনগণের সামনে আসার কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে কোনো রাজনেতিক নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে ৯০ ভাগ ভোট পাবেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা লন্ডনে বাসে চড়ে চলাফেরা করেন। তার সেখানে গাড়ি নেই, বাড়ি নেই। বঙ্গবন্ধুর সততা থেকে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা শিক্ষা নিয়েছেন। তাদের সন্তানদের মধ্যেও ক্ষমতার দাম্ভিকতা নেই।
তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা হোসেন পুতুল, রেদোয়ান সিদ্দিক ববির বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে। শুনেছি তাদের কারো কারো নাম ভাঙিয়ে সচিবালয়সহ বিভিন্ন অফিসে আর্থিক সুবিধা বা ব্যবসা চাওয়া হচ্ছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেউ এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবেন না। তারা চাকরি করে জীবন ধারণ করেন। যারা তাদের নাম ভাঙানোর চেষ্টা করছে তাদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তথ্য দিতে অনুরোধ করছি।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি প্রমুখ।