নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপের আহবান প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি আরেকটি ভুল করলো বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা বলছেন, রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপি না এলেও নির্বাচন কমিশন গঠন হবেই। নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার চাইতেও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকাকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীনরা।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে গেলো বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এখন পর্যন্ত ২৮টি দল সংলাপের ডাক পেয়েছে। এরমধ্যে সংলাপের আহবান প্রত্যাখ্যান করেছে কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল ও সবশেষে বিএনপি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, প্রত্যাখ্যানের বদলে সংলাপে যোগ দিয়ে বিএনপি তাদের দাবি ও সুপারিশগুলো তুলে ধরতে পারতো। কিন্তু বরাবরের মতো এবারও তারা গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হলো। নেতারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটিই একমাত্র ভরসা। তাদের বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত বিএনপি তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সংলাপে যোগ দেবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ বলছে তড়িঘড়ি করে কোন আইন নয়। আবার আইন করেও নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কমুক্ত রাখা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনে দরকার নির্বাচন কমিশনকে সব দলের সহযোগিতা।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কোনো আন্দোলন হলে সেটি রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলার কথাও জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা আওয়ামী লীগ।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে পৌনে আটটার দিকে নির্বাচন কমিশন গঠনে বঙ্গভবনে ১২ জানুয়ারি বিকেল চারটায় বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রপতি।
এদিন আমন্ত্রণপত্র নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ চিঠি গ্রহণ করেন। তবে আমন্ত্রণ পেতে না পেতেই রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণের জবাব দেয় বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাত্তরকে বলেন, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচন কমিশন অর্থহীন। তাই ১২ তারিখের সংলাপে অংশ নেবে না বিএনপি।