আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি এখন উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে নতুন ষড়যন্ত্র করতে চায়। এ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার অধিকার আপনাদের নেই। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে সন্ত্রাস নৈরাজ্য কর্মকাণ্ড করেছিলেন। যার জন্য আপনাদের আইনের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। বিচারের মুখামুখি হতে হয়েছিল। যদি আপনারা মনে করেন, নৈরাজ্য করে আগামী নির্বাচন বানচাল করতে চান তার জন্য আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মী আছে আপনাদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করার। আপনারা ভাববেন না যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে পার পেয়ে যাবেন।
আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে এসেছে। কারও বাঁশির ফু-য়ে মাধ্যমে আসেনি। ১৯৪৯ সালের আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে বাঙালির অধিকার আদায়ের কাজ করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। শুরু থেকে বঙ্গবন্ধুকে হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছিল , কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে থামাতে পারেনি।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বঙ্গবন্ধু নির্দেশে যেকোনো যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। রাতের আঁধারে অপারেশন সার্চলাইটের নামে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার ডাকে স্বাধীনতার যুদ্ধ ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু কিছু লোক আছে এখনো স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না। যারা এখনো বলে স্বাধীনতা আপনাআপনি আসত এরা দেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না। স্বাধীনতা হঠাৎ করে আসেনি। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা এসেছে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের বিএনপির যেমন লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয়েছিল আগামী নির্বাচনেও বিএনপির লজ্জাজনক পরাজয় হবে। যারা এখনো বলে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মারা গেছে কি না, সন্দেহ আছে, যারা এখনো বলে আমাদের স্বাধীনতা নাকি বাই-চান্সে হয়েছে, এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না। এরা পাকিস্তানে বিশ্বাসী, আমি তাদেরকে বলব, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আগে জানুন। মুক্তিযুদ্ধ বাই-চান্সে হয়নি, স্বাধীনতা বাই-চান্সে আসেনি।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন সেই রোডম্যাপ দিয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে ষড়যন্ত্র। জামায়াত ও বিএনপি ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এরা জানে নির্বাচনে জয় লাভের কোনো সুযোগ নেই। তারা এখনো জন বিচ্ছিন্ন, তারা যখন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা ছিল সেই সময় বাংলাদেশকে কী করেছিল? বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার ছেলে তারেক জিয়া হাওয়া ভবন বানিয়ে হয়েছিলেন বিকল্প প্রধানমন্ত্রী। এই হাওয়া ভবন ছিল যত নষ্টের মূল। এ দেশে যত ষড়যন্ত্র হয়েছিল তা এই হাওয়া ভবন থেকে তারেক রহমানের নেতৃত্বে হয়েছিল। ওই হাওয়া ভবন থেকে জঙ্গিবাদের মদদ দেওয়া হয়েছিল।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন প্রমুখ।