তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি এখন আর রাজনৈতিক দল না, তারা এখন সন্ত্রাসী দল। তাদের সাথে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু ৭ম খণ্ড’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারা স্পষ্টত নৈরাজ্য সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তিন দিনের অবরোধ ডেকেছে। তাদের উদ্দেশ্য অবরোধ করা নয়। তারা জানে তাদের পক্ষে দেশে অবরোধ কার্যকর করা সম্ভবপর নয়। কিন্তু তারা চোরাগোপ্তা হামলা, নৈরাজ্য সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে অবরোধ ডেকেছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার। যারা মানুষের সহায়-সম্পত্তিতে, সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেবে, ধ্বংস করবে তারা চোর-ডাকাতের চেয়েও খারাপ। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধেও জনগণ যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, গত শনিবারের সহিংসতার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিন্দা জানিয়েছে। আমরা মনে করি এই সহিংসতা বন্ধ করার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে এটিও বলা হয়েছে সহিংসতার ভিত্তিতে ভিসা নীতি নিয়েও তারা ভাববে। যারা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, পুলিশ হত্যা করেছে, জনগণের সম্পত্তি পুড়িয়েছে, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স জ্বালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে করে বিএনপির অবরোধ ঘোষণা নিয়ে এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি নেতারা আসলে কত ভীতু। ২৮ অক্টোবর কর্মীরা যাওয়ার আগে নেতারা পালিয়ে গেছে। নেতারা পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে কর্মীরাও পালিয়ে গেছে। আমরা বিরোধী দলে ছিলাম, আমরা রক্তাক্ত হয়েছি, আমরা পালিয়ে যাইনি। বিএনপি নেতারা আসতেই ভয় পায়। সেজন্য তারা ভার্চুয়ালি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালানোর অর্থ বিচার ব্যবস্থার ওপর হামলা। যারা হাসপাতালে হামলা চালিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেয়, যারা পুলিশ হত্যা করে তারা কখনও রাজনৈতিক দল হতে পারে না। বিএনপি এখন কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তারা সন্ত্রাসী সংগঠনের চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছে। তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যে কারও সাথে রাজনৈতিক দল হিসেবে আলোচনা করতে পারে। যারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করে, যারা দেশের সংবিধান মানে, আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে মানে তাদের সাথে আলোচনা হবে। তারেকের নেতৃত্বে বিএনপি এখন চূড়ান্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের রূপ ধারণ করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না।