জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পাদ অর্জনের মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের আদেশের পর অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে আমানকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করে জামিন চান আমানউল্লাহ আমান। কিন্তু জামিন নামঞ্জুর করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ ছাড়া জেলকোড অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির ডিভিশন প্রদানের জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল/বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে সুচিকিৎসা প্রদানের আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আমানের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে আত্মসমপর্ণের পর আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
গত ৭ আগস্ট বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে ২৮১ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে বলা হয়েছে, রায়ের অনুলিপি পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে আমান দম্পতিকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছর এবং সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে এ দম্পতি রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল আবেদন মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে মামলাটির পুনঃশুনানি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।