আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপ নিয়ে আপাতত আমরা ভাবছি না, ভাবব কি না সেটা পরের বিষয়। গতবারের কথা আমাদের মনে আছে; এক বার নয়, দুই বার তাদের সঙ্গে সংলাপে বসেছি। রেজাল্ট কী?
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞার জন্য নালিশ করতে করতে বিএনপি এখন নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে।
তারা নিজেরাই ‘ফাঁদে পড়ে কান্দে’। এখন তারা নালিশ করে নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে পেয়েছে ভিসানীতি। এই ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না, একটা সেই দেশের ব্যাপার। আমরাও আমাদের দেশে কাকে ভিসা দেব, কাকে দেব না, সেটাও আমাদের ব্যাপার। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কী আছে।
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না- এটা সেই দেশের (যুক্তরাষ্ট্রের) ব্যাপার। আমরাও আমাদের দেশে কাকে ভিসা দেবো, কাকে ভিসা দেবো না- সেটাও আমাদের ব্যাপার।
এসময় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে আপাতত ভাবছেন না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংলাপ নিয়ে ভাববো কি না সেটা পরের বিষয়। টেবিলে বসিয়ে মুলা ঝুলাবে, গতবারের কথা আমাদের মনে আছে। একবার নয়, দুইবার তাদের সঙ্গে সংলাপে বসেছি। রেজাল্ট কী?
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেবের জিহ্বায় পানি আসছে। মনে করছেন, আওয়ামী লীগ তাদের সংলাপে ডাকবে। এই সংলাপের কথা আমরা ভাবছি না। নিরপেক্ষ কে? আপনার নেত্রী বলেছেন শিশু এবং পাগল। শিশু আর পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। কাজে আপনি শিশু এবং পাগলের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষ ব্যক্তি খুঁজে বের করুন। তারপর বোঝা যাবে কী হবে। আর এটা নিয়ে মাথা খারাপ করে কাজ নেই। এই তত্ত্বাবধায়ক আর আসবে না, তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে। এই মরা জিনিসকে আর জীবিত করার চেষ্টা করবেন না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করেনি, এটা নিষিদ্ধ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির নমিনেশন লন্ডন থেকে দেয়, ঢাকা থেকে দেয়, নয়াপল্টন থেকে দেয়, গুলশান থেকে দেয়। এত জায়গা থেকে নমিনেশন বিক্রি করে। এটাই হচ্ছে বিএনপি। শেষ পর্যন্ত নমিনেশন বাণিজ্যের জন্য কি এত খেলাধুলা করছেন? মনে আছে, ওই নমিনেশন বাণিজ্য অনেকের পকেট খালি করেছে। একেক জায়গা তিনজন-চারজন করে নমিনেশন পেয়েছে, এটা হচ্ছে বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ বিদেশি বন্ধুরা চায় নিরপেক্ষ নির্বাচন। তারা চায় ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন। আমাদের নেত্রী দেশি-বিদেশিদের আশ্বস্ত করে বলেছেন যে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো। বিদেশিরা চায় ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন, আর বিএনপি চায় তত্ত্বাবধায়ক। বিএনপি চায় শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, মামা বাড়ির আবদার। বিএনপির দাবি পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করতে হবে। জনগণের নির্বাচিত পার্লামেন্ট কেন বিলুপ্ত করতে হবে?