মজিবুর রহমান সুজন,বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ
বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার মামুন ভূঁইয়া জোরপূর্বক পাশের বাড়ির মমতাজ বেগমের জায়গায় বাথরুমের ট্যাংকি করার কারণে মমতাজ বেগম ও মমতাজ বেগমের ছেলে সবুজ ভূঁইয়া বাধা দিলে মামুন ভূইয়া,জুনায়েদ ভূঁইয়া,নাজমুল ভূঁইয়া,বাবু ভূঁইয়া,আবু হাসান ভূঁইয়া সহ আরো অনেকে মমতাজ বেগম ও তার ছেলে সবুজ ভূঁইয়ার উপর আক্রমণ করে। তাদের হাতে থাকা দা দিয়ে সবুজ ভূঁইয়ার মাথায় আঘাত করে। পরবর্তীতে সবুজ ভূইয়াকে বিজয়নগর উপজেলা হাসপাতালে বিকাল ২ ঘটিকার সময় ভর্তি করানো হয়। মামুন ভূঁইয়া গোপনে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় উল্লেখ করা হয় বিকাল ৩ ঘটিকায় সবুজ ভূঁইয়া তাদেরকে আক্রমণ করে। সাধারণ জনগণের প্রশ্ন বিকাল ২ ঘটিকায় সবুজ ভূঁইয়া হাসপাতালে ভর্তি হলে একই দিন বিকাল ৩ ঘটিকায় সবুজ ভূঁইয়া কিভাবে তাদেরকে আক্রমণ করে। সরে জমিনে গিয়ে জানা যায়, মামুন ভূঁইয়া ও গংরা দীর্ঘদিন ধরে এই পরিবারের উপর বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতন করে আসতেছে। সবুজ ভূঁইয়ার দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা তাদের বাড়িতে আসলে সবুজ বিয়ার ভাতিজি সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রী পুলিশকে মামুন ভূইয়ার বাড়ি দেখিয়ে দেওয়ার কারনে মামুন ভূইয়ার বাড়ির লোকজন এই মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে মারবে বলে হুমকি দেয়। হুমকির কারণে মেয়েটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছে। ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা না পেলে সবুজ ভূঁইয়ার ভাইয়ের বউ এক ছেলেও এক মেয়ে নিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুল ইসলাম এই প্রতিবেদক কে জানান,উভয় পক্ষই মামলা করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।