শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আপসহীন নেতা। তিনি পাকিস্তানিদের নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আজ শনিবার শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানিদের কবল থেকে স্বাধীনতা না পেলে এদেশের মানুষের প্রকৃত মুক্তি আসবে না। কেননা রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সকল ক্ষেত্রেই পাকিস্তানিরা বাঙালিদের দাবিয়ে রাখতে চেষ্টা করেছিল।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দপ্তর/সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর মহাপরিচালক ড. মো. নজরুল আনোয়ার, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপু, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. শহীদুল হক ভূঁঞা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জাফর উল্লাহ। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসিনক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা হারিছ উদ্দিন জোয়ারদারকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জাতির পিতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। তাঁর পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশ হবার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্নসূচকে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় উন্নতি লাভ করেছে।
শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি আর ১০টি বছর সময় পেতেন তাহলে আমরা ভালো জায়গায় আরো আগেই পৌঁছে যেতাম। কেননা স্বাধীনতার পর অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। যেমন স্বাস্থ্যখাতের বেশির ভাগ বড় প্রতিষ্ঠানই তাঁর সময়ে করা। একইভাবে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন-২০২১, এসডিজি-২০৩০, ভিশন-২০৪১, ডেল্টা প্লান-২১০০ অনুযায়ী দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে শিল্প মন্ত্রণালয়ের চত্বরে স্থাপিত জাতির পিতার ম্যুরাল এবং মন্ত্রণালয়ের লবিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এ ছাড়া গতকাল ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের স্মরণে বাদ জুম্মা শিল্প মন্ত্রণালয় জামে মসজিদে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।