এম এ রশীদ বিয়ানীবাজারঃ ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিয়ানীবাজার উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আকস্মিক অবনতি হয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙ্গে একাধিক স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। অনেকের ঘর-বাড়ি বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে গবাদি পশু ও পুকুর-খামারের মাছ। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত ৫টি ইউনিয়নে মোট ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ২০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আরো দূর্গত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিচ্ছেন। উপজেলার আলীনগর, চারখাই, দুবাগ, শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বেশীরভাগ এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামিম,থানার অফিসার ইনচার্জ দেব-দুলাল ধর,উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লবসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা।এসময় তারা সাহসিকতার সাথে প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। সরকারি হিসেবে প্রবাসী অধূষ্যিত এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৫শ’ লোক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। দূর্গত মানুষের সহায়তায় জন্য ত্রাণ সামগ্রীর চাহিদা চেয়ে পাঠিয়েছেন দায়িত্বশীলরা। উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে নগদ টাকা, শুকনো খাবার ও ১৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শামিম জানান, ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন সহ আরও বরাদ্ধ চেয়ে ঊর্দ্বধন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানানো হয়েছে। ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বিয়ানীবাজার সহ সিলেটের অন্তত ৮টি উপজেলায় বন্যা হয়েছে।তবে শনিবার বিকাল থেকে বিয়ানীবাজারের বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। বিয়ানীবাজারের কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শেওলা পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমে ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।