মুহাম্মদ ওয়াহিদুন নবী বিপ্লব: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক এস এম মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে এ মামলা করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রাজধানীর দারুসসালাম থানা পুলিশকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী মাহবুব হাসান রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদী ও আসামির মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মামুনুর রশীদ বাদীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হন। তবে মামুনুর রশীদ শর্ত আরোপ করেন চাকরিতে বিয়ের পারমিশন না হওয়া পর্যন্ত তাকে বাড়িতে তুলতে পারবে না। গত বছরের ১৬ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে দুইজনের উপস্থিতিতে একটি কাবিননামার নীল কাগজে সাভার স্মৃতিসৌধে বসে স্বাক্ষর করেন আসামি। বলেন যে তাদের বিবাহ হয়ে গেছে। কাবিনের অন্যান্য কাজ তিনি নিজে করবেন। ২১ জুলাই আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা একটি বাসাভাড়া করে একত্রে বসবাস শুরু করেন।
এদিকে ভিকটিম তার পরিবারের কাছে বিয়ের কথা জানিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হন মামুনুর রশীদ। তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না বলে জানায়। ভিকটিম আসামিকে তার বাড়ি নিয়ে যেতে চাপ দিলে মামুনুর রশীদ ২৯ জুলাই তাকে একা রেখে বাসা থেকে চলে যান। ৪ আগস্ট ভিকটিমের পরিবারের সামনে ওই বাসায় গিয়ে জানিয়ে দেন, এতদিন সে বিয়ের মিথ্যা নাটক করে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেছে। তার সঙ্গে সংসার করার ইচ্ছা নেই। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেবে। প্রয়োজনে তাকে যেকোনো সময় গুম ও হত্যা করবে। এ নিয়ে বাদী ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে একটি মামলা করেন। পরে তাদের মধ্যে আপস মীমাংসা হয়। সিদ্ধান্ত হয় তাদের মধ্যে বিবাহ হবে। এ কারণে বাদী মামলাটি উত্তোলন করে নেন। কোরবানির ঈদের পরদিন বিবাহের দিন ধার্য করা হয়।
গত ২ এপ্রিল এবং ৪ এপ্রিল তারা একত্রে বিবাহের জন্য মার্কেট করেন এবং একান্ত সময় কাটান। এ সময় বাদীকে ধর্ষণ করেন তিনি। গত ১৫ আগস্ট আসামি বাদীকে জানিয়ে দেন তাকে বিয়ে করা সম্ভব না। এতে বাদী নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলাটি করেন।