দল হিসেবে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ এশিয়া কাপে দিতে পারেনি বলেই মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ইনজুরি সমস্যা ও গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের অনুপুস্থিতিতে এশিয়া কাপে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতলেও, শ্রীলংকার কাছে দুবার (গ্রুপ ও সুপার ফোর) পাকিস্তানের কাছে সুপার ফোরে পরাজিত হয় বাংলাদেশ।
তবে সাকিবের মতে, সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে হট ফেভারিট ভারতকে ৬ রানে হারিয়ে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে বাংলাদেশ।
দলের সেরা খেলোয়াড়দের পেলে আসন্ন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভয়ংকর দল হয়ে উঠবে বলে আত্মবিশ্বাসী সাকিব।
আগেভাগেই ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় প্রথম সারির পাঁচ খেলোয়াড়কে নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলো ভারত। অন্য দিকে ম্যাচে ছয়টি পরিবর্তন আনা বাংলাদেশ একাদশে আধিপত্য ছিল তরুণ ক্রিকেটারদেরই।
ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন, ‘দলের অনেক খেলোয়াড়ই ইনজুরিতে এবং কেউ-কেউ আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলো। যেটা আমাদের জন্য সহায়ক ছিলনা। তবে সব কিছু ঠিক থাকলে বিশ্বকাপে আমরা একটি ভয়ংকর দল হব বলেই আমি মনে করছি।’
ব্যাট হাতে ৮৫ বলে ৮০ রান করার পাশাপাশি বোলিংয়ে ১০ ওভারে ৪৩ রানে ১ উইকেট শিকার করে বাংলাদেশের জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছেন সাকিব। ৫৯ রানে ৪ উইকেট পতনের পর মূলত সাকিবের কাউন্টার অ্যাটাকে ৮ উইকেটে ২৬৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। বোলিংয়ে বোলারদের বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করেছেন সাকিব। তার বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বে ৪৯ দশমিক ৫ ওভারে ২৫৯ রানে অলআউট হয় ভারত।
সাকিব বলেন, ‘আমরা ম্যাচ না খেলাদের সুযোগ দিয়েছি। শেষ দুই ম্যাচের পর আমাদের মনে হয়েছে-স্পিনাররা ভাল করবে। আজ আমি কিছুটা আগেই নেমেছি এবং ক্রিজে সময় কাটাতে পেরেছি। এটা চ্যালেঞ্জিং উইকেট ছিল। উইকেটে কিছুটা সীমিং ছিল এবং বল পুরানো হওয়ার পর সহজ হয়েছিল।’
১৩৩ বলে ১২১ রান করা শুভমান গিলকে শিকার করা অফ স্পিনার মেহেদি হাসানের প্রশংসা করেন সাকিব। অভিষেকে ৩২ রানে ২ উইকেট নেওয়া পেসার তানজিম হাসান সাকিবের আলাদা প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক।
সাকিব বলেন, ‘এ সময় বোলিং করাটা সহজ ছিল না। বোলিংয়ে এসে দলকে বেক্র-থ্রু এনে দেয় সে। শেষ পর্যন্ত তার পাঁচ ওভার বোলিং মোটেও সহজ ছিলো না। এ ছাড়া শুরুতে দারুন বোলিংয়ে দুই উইকেট শিকার করেন তানজিম। আমরা খুব ভালো একাট দল পেয়েছি।’
ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার উইকেট নেন পেসার তানজিম। দ্বিতীয় বলেই তানজিমের শিকার হয়ে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে রোহিতকে।
তানজিম বলেন, ‘প্রথম উইকেটেই রোহিত ভাইকে শিকার এটি স্বপ্নের উইকেট। আমি শুধু লাইন এবং লেন্থের দিকে মনোযোগী ছিলাম। বড় স্পেল করার জন্য আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। সামিকে করা শেষ ডেলিভারিতে আমার বিশ্বাস ছিল, আমি পারফেক্ট বল করতে পারব। খুবই ভালো লাগছে।’