1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

বিশ্বকাপে স্পটলাইটে থাকবেন এ প্রজন্মের পাঁচ ক্রিকেটার

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আগামী ৫ অক্টোবর ভারতের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট মাতাবেন বেন স্টোকস, বাবর আজম, বিরাট কোহলিদের মত বড় তারকারা। কিন্তু টুর্নামেন্টে নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দিকেও থাকবে নজর । বার্তা সংস্থার এএফপির দৃষ্টিতে ফোকাসে থাকা নতুন প্রজন্মের পাঁচ ক্রিকেটার।
তাওহিদ হৃদয় (বাংলাদেশ) : ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন হৃদয়। সেখাণ থেকে সরাসরি জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া মিডল অর্ডার এ ব্যাটার বড় কিছু করার সক্ষমতা রাখেন। এমনকি বাংলাদেশকে প্রথমবারের মত ওয়ানডে বিশ^কাপের ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সাফল্যের পর গেল মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে অভিষেক হয় ২২ বছর বয়সী হৃদয়ের। এরপরই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলেও সুযোগ পেয়ে যান তিনি। একদিনের ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ১৭টি ওয়ানডে খেলে ৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে নিজের জাত চিনিয়েছেন হৃদয়। তার মেন্টর মুশফিকুর রহিমের উপহার দেয়া ব্যাট দিয়ে ভারত মাতানোর অপেক্ষায় হৃদয়।

ব্যাটার হৃদয়ের প্রশংসা বাংলাদেশের সহকারী কোচ নিক পোথাসের কণ্ঠে, ‘দক্ষতার দিক দিয়ে সেরাটা স্পর্শ করার প্রবল ইচ্ছা তার মধ্যে সব সময় বিরাজমান। এ ছাড়া তার মধ্যে অনেক সম্ভাবনা এবং শেখার প্রবল ইচ্ছা আছে। তার সক্ষমতায় আমি রোমাঞ্চিত।’
নুর আহমাদ (আফগানিস্তান) : বলের ওপর দারুণ নিয়ন্ত্রণ, গতি ও বৈচিত্র্যপূর্ণ বোলিংয়ে নতুনত্ব এনে বিশ^ ক্রিকেটে নজর কেড়েছেন বাঁ-হাতি রিস্ট স্পিনার নুর। মাত্র ১৪ বছর বয়সে আফগানিস্তানের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিলো নুরের। মাত্র ১৭ বছর বয়সে গেল বছর শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় তার। একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিজের সক্ষমতার প্রমান দিয়েছেন ১৮ বছর বয়সী নুর। সতীর্থ রশিদ খানকে আদর্শ মানা নুর গেল বছর আইপিএলে গুজরাট লায়ন্সের হয়ে নজর কাড়েন। আইপিএলের পাশাপাশি সারা বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নুুরের চাহিদা ব্যাপক। বিশ্বকাপে রশিদের যোগ্য ব্যাক আপ হতে পারেন তিনি।
নুরকে নিয়ে রশিদ বলেন, ‘এই ছোট বাচ্চাটা শুধু শিখতে চায়। সে এখন সুযোগ পেয়েছে এবং আমি খুব খুশি, সে সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। এটি আফগানিস্তান ক্রিকেটের জন্য দারুন খবর।’

মাথিশা পাথিরানা (শ্রীলংকা) : ২০১৯ বিশ্বকাপ শেষে লাসিথ মালিঙ্গার অবসরের পর থেকে শ্রীলংকা এমন একজন বোলারের সন্ধান করছে যে কিনা প্রতিপক্ষের উইকেট শিকারে পারদর্শীতা দেখাবেন এবং ব্যাটারদের একপ্রান্তে আটকে রাখবেন। মালিঙ্গার জায়গায় সম্ভাব্য বোলার হিসেবে পাথিরানাকে খুঁজে পেয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মালিঙ্গার মতই স্লিঙ্গিং, ডেলিভারির সময় নিচ থেকে হাত নিয়ে আসা ও ভয়ংকর ইয়র্কারে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করার দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি। গত বছর আইপিএলে এডাম মিলনের বদলি হিসেবে পাথিরানাকে দলে নেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। খেলার সুযোগ পেয়েই অভিষেকের প্রথম বলেই শুভমান গিলের উইকেট তুলে নেন পাথিরানা। গত জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় তার। দ্বিতীয়বারের মত বিশ^কাপের শিরোপা জিততে হলে ‘বেবি মালিঙ্গা’র পারফরমেন্সের উপর নির্ভর করতে হবে শ্রীলংকাকে।
শ্রীলংকার কোচ ক্রিস সিলভারউড বলেন, ‘খুব দ্রুতই শিখতে পারে এবং ম্যাচে সেটি দ্রুত প্রয়োগও করতে পারে। এটি নিজের মতো করেই করে সে।’
গাস অ্যাটকিনসন (ইংল্যান্ড) : ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিশ^কাপ জয়ে বড় কৌশল ছিলো গতিময় বোলিং। ঐ দলে জোফরা আর্চার এবং মার্ক উডের মত গতিময় বোলার ছিলো। যারা ধারাবাহিকভাবে ঘন্টায় ৯০ মাইল গতিতে বোলিং করেছেন। আসন্ন বিশ্বকপ দলে উড থাকলেও, দীর্ঘমেয়াদী কনুইয়ের ইনজুরি থেকে সুস্থ হতে লড়াই করছেন আর্চার। বিশ^কাপে দলের সাথে রিজার্ভ হিসেবে থাকছেন আর্চার। তবে দলে আছেন গতি দিয়ে ঝড় তোলার আরেক পেসার অ্যাটকিনসন। চলতি বছরের শুরুর দিকের দুর্দান্ত পারফরমেন্সের সুবাদে সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথমবারের মত ডাক পান ২৫ বছর বয়সী এই পেসার। ৩ ম্যাচে মাত্র ১টি উইকেট নিলেও ঘন্টায় ৯৫ মাইল গতিতে বোলিং করেছেন অ্যাটকিনসন।
অ্যাটকিনসনকে নিয়ে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক বলেন, ‘দেখে মনে হয় না, দ্রুত গতিতে বল করতে তার খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয়। দেখে মনে হয়, তাার বোলিংয়ে আরও গতি আছে।’
তেজা নিদামানুরু (নেদারল্যান্ডস) : সকল ভারতীয় ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপ খেলা। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের হয়ে বিশ^কাপ খেলার আশা করে না তারা। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে জন্ম নিলেও নিউজিল্যান্ডে বেড়ে উঠেন নিদামানুরু। পরবর্তীতে নেদারল্যান্ডসে পাড়ি জমান তিনি। গত বছরের মে মাসে নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলার সুযোগ পান নিদামানুরু। অভিষেক ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। এ বছরের জুনে জিম্বাবুয়ের মাটিতে বিশ^কাপ বাছাই পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে ৭৬ বলে ১১১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিশ্ব ক্রিকেটে চমক দেখান তিনি।

নিদামানুরুর ইনিংস সুবাদে ঐ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৩৭৪ রান স্পর্শ করে ম্যাচটি টাই করে সুপার ওভারে জয় পায় নেদারল্যান্ডস। প্রথমবারের মত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি দুবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাছাই পর্বে সেরা দুই দলের একটি হয়ে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পায় নেদারল্যান্ডস।
নিদামানুরু বলেন, ‘বিশ্বকাপ খেলার কথা বলাটা খুব সহজ নয়। পথটি কঠিন ছিলো। কিন্তু এটি পাড়ি দেয়াটা সার্থক বলে মনে হচ্ছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি