সব জল্পনা-কল্পনা আর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ থেকে শুরু হয়েছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩। এক যুগ আগে ২০১১ সালে ভারতের মাটিতে আয়োজিত হয়েছিল একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। তবে সেবার দেশটি ছিল সহ-আয়োজক দেশ। আর এবার এককভাবে আইসিসির এই মেগা টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে দেশটি। গত বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট দল নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে শুরু এবারের আসর।
নতুন আরেকটি বিশ্বকাপ সামনে রেখে সবাই এখন চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন রেকর্ডের পাতায়। আগের ১২টি বিশ্বকাপে মনে রাখার মতো কিছু ক্রিকেটাররা। সেখান থেকে জেনে নেওয়া যাক সেরা পাঁচ বোলার ও ইনিংস।
১.মার্টিন গাপটিল- নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটার মার্টিন গাপটিল তার মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাত। ২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে ১৬৩ বলে ২৩৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছেন গাপটিল। যা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে কোনো ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রানের ইনিংস। এমন ডাবল সেঞ্চুরির মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে দুইশ রানের কীর্তিও গড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার। সেই ম্যাচে ১৪৩ রানের বড় জয় পেয়েছিল কিউইরা।
২.ক্রিস গেইল-ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা ব্যাটার ক্রিস গেইল টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডেতেও বেশকিছু রেকর্ড গড়েছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে ১৪৭ বলে ২১৫ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলেন গেইল। সেই ম্যাচে মারলন স্যামুয়েলসে সঙ্গী করে ৩৭২ রানের বড় জুটি গড়েন গেইল। যা ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোনো ক্যারীবীয় ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রানের ইনিংস।
৩.গ্যারি কারস্টেন-দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি ব্যাটার গ্যারি কারস্টেন ১৯৯৬ বিশ্বকাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচে ১৫৯ বলে ১৮৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৩ চার ও ৪ ছয়ে সাজানো কারস্টেনের সেই ইনিংসটিই ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রানের ইনিংস।
৪.সৌরভ গাঙ্গুলি- ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি তার দলকে ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিল। এর আগে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ১৮৩ রানের একটি ইনিংস খেলেন গাঙ্গুলি। ভারতের জার্সিতে ৩১১টি ম্যাচ খেলা গাঙ্গুলি ওই ম্যাচে আরেক কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে ৩১৮ রানের জুটি গড়েন।
৫.স্যার ভিভ রিচাডর্স- সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটারদের একজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্যার ভিভ রিচাডর্স। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা ব্যাটার ছিলেন তিনি। সেই বিশ্বকাপে করাচি স্টেডিয়ামে খেলা তার ১৮১ রানের ইনিংসটি এক ম্যাচে তার সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রান।
বোলিং ফিগার
১.গ্লেন ম্যাকগ্রা- অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক গ্লেন ম্যাকগ্রা। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে জহির খানের শেষ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এর আগে নামিবিয়ার বিপক্ষে ১৫ রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড গড়েছিলেন ম্যাকগ্রা।
২.অ্যান্ডি বিকেল- একই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিংয়ে আগুন ঝরিয়েছিলেন অ্যান্ডি বিকেল। পোর্ট এলিজাবেথে সেদিন ইংলিশদের বিপক্ষে ১০ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন বিকেল।
৩.টিম সাউদি- ২০১৫ বিশ্বকাপে টিম সাউদির সামনে রীতিমতো অসহায় ছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ওয়েলিংটনে ৩৩ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন সাউদি। ১২৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ইংলিশরা।
৪.উইনস্টন ডেভিস- ১৯৮৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিধ্বংসী রূপ দেখিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলার উইনস্টন ডেভিস, ৫১ রানে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। যদিও এই ফর্ম বিশ্বকাপের সামনের ম্যাচগুলোতে টানতে পারেননি ডেভিস। যার ফল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে একাদশে জায়গা হারান।
৫.গ্যারি গিলমোর- চিরপ্রতিদ্বন্দি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন গ্যারি গিলমোর। ১৯৭৫ বিশ্বকাপে লিডসে ১৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার। সে ম্যাচে ইংলিশিরা অলআউট হয়েছিল ৯৩ রানে।