চিলির করা খেলোয়াড়ের জন্মস্থান ও বয়স চুরির গুরুতর অভিযোগের মুখে পড়েছিল ইকুয়েডর। লাতিন অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে মূল আসরের টিকিট নিশ্চিত করেও তাই অনিশ্চয়তায় ছিল ইকুয়েডরের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ। তবে সব সংশয় দূর করে দিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ফিফা জানিয়ে দিয়েছে, চিলির অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি তারা। তাই লাতিন অঞ্চলের বাছাইয়ে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের সঙ্গে ইকুয়েডরই থাকছে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া দল হিসেবে। অর্থাৎ তাদের বিশ্বকাপ খেলতে আর কোনো বাধা নেই।
বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক সূচিও প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর গত মাসে চিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন দাবি করে, ইকুয়েডরের হয়ে বাছাইপর্বে আটটি ম্যাচ খেলা ডিফেন্ডার বাইরন ডেভিড ক্যাস্টিলো সেগুরা মূলত কলম্বিয়ান। যার জন্ম হয়েছে ১৯৯৫ সালে, কলম্বিয়ার টুমাকোয়।
তবে ইকুয়েডর তাদের কাগজপত্রে উল্লেখ করেছে, ১৯৯৮ সালে ইকুয়েডরের শহর প্লায়াসেই জন্মগ্রহণ করেছেন বাইরন। এটি নিয়েই সৃষ্টি হয় ধোঁয়াশা। অবশেষে দুই পক্ষের সরবরাহকৃত সকল তথ্য-প্রমাণ পুনরায় পর্যালোচনা করে ইকুয়েডরের পক্ষেই রায় দিয়েছে ফিফা।
উল্লেখ্য, লাতিন অঞ্চলের বাছাইয়ে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ছিল ইকুয়েডর। বাইরনের খেলা ৮ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। যদি চিলির অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হতো, তাহলে এই ১৪ পয়েন্ট হারাতো তারা। সেক্ষেত্রে ইকুয়েডরের বিপক্ষে দুই ম্যাচের পয়েন্ট পেয়ে বিশ্বকাপ খেলার দুয়ার খুলতে পারত চিলির জন্য।