জীবনে সবকিছুই ছিল লিওনেল মেসির- কেবল একটি বিশ্বকাপ ছাড়া। এ জন্য বহুদিন ভুগতে হয়েছে, বহু মানুষের বিভিন্ন ধরনের কথাও শুনতে হয়েছে তাকে।
ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে আরাধ্য সেই ট্রফি ছুয়ে দেখেছেন কাতারে। আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর জিতিয়েছেন বিশ্বকাপের শিরোপা।
পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই মেসির জাদুকরী ছোঁয়া বারবার বদলেছে আলবিসেলেস্তেদের পথ। আর্জেন্টাইন তারকা হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়। সাত ম্যাচে ৭ গোলের সঙ্গে তিনটি অ্যাসিস্ট করেন মেসি। তবে এসবের বাইরেও তার নেতৃত্বগুণ, জাদুকরী সব মুহূর্তই মূলত আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতে সাহায্য করেছে বেশি।
মেসি তাই ভালোভাবেই আছেন এবারের ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে। এর আগেও সর্বোচ্চ সাতবার মৌসুমের সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতির জন্য দেওয়া এই পুরস্কার জিতেছেন তিনি। সম্প্রতি জায়গা পেয়েছেন উয়েফার সেরা ফুটবলারের তিনজের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও। তবে বিশ্বকাপ জেতার পর এখন ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে ভাবছেন না বলেই জানালেন মেসি।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারজুড়ে অনেকবার বলেছি, ব্যালন ডি’অর গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার নয়। ব্যক্তিগত দিক থেকে সবচেয়ে সুন্দর পুরস্কার কিন্তু আমি কখনোই এটাকে গুরুত্ব দেইনি। সবসময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের হয়ে নোকো অর্জন। বিশ্বকাপ জেতার পর, যেটা আমি জিততে পারছিলাম না; এখন আমি এমনকি ব্যালন ডি অর নিয়ে ভাবছিও না।’
‘বিশ্বকাপ ছিল সবচেয়ে সেরা অর্জন আর এখন আমি সময়গুলো উপভোগ করছি কেবল। সত্যিটা হচ্ছে আমি ব্যালন ডি অর নিয়ে ভাবছি না। যদি এটা আসে, তাহলে সুন্দর একটা ব্যাপার হবে। যদি না পাই, কিছুই হবে না। এখন ইন্টার মায়ামির হয়ে আমার নতুন চাওয়া আছে।’
এ মৌসুমের শেষে ইউরোপ ছেড়ে এসেছেন মেসি। পিএসজি থেকে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে। নতুন শহরে কতটা মানিয়ে নিতে পারছেন? শনিবার ভোরে দলটির হয়ে লিগ কাপের ফাইনাল খেলতে নামবেন মেসি, ক্লাবের ইতিহাসেই যেটি প্রথম। এর আগে মেসি কথা বলেছেন মায়ামি শহর নিয়েও।
তিনি বলেন, ‘আমি এই শহরকে দেখে চমকে যাইনি, কারণ এখানে আগেও ছিলাম। জানতাম এখানকার মানুষ কেমন আর ইতোমধ্যেই আমি পছন্দ করতে শুরু করেছি এসব। প্রতিদিন এখানে থাকা আমাকে শহরের আরও কাছে নিয়ে যাচ্ছে আর এটাকে আরও ভালোভাবে চেনাচ্ছে। আমি খুশি, জীবনের নতুন ধাপ উপভোগ করছি, এই দেশে থাকার অভিজ্ঞতা নিচ্ছি। যেটা সবসময়ই আমার মাথায় ছিল।’
‘আমি প্রায় মাস দেড়েক ছুটিতে ছিলাম এখানে আসার আগে। অনুশীলন, ম্যাচের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শুরুতে কঠিন ছিল। এখানে অনেক গরম ছিল কখনো কখনো আপনি এটা অনুভব করবেন। তবে আমি এখন মানিয়ে নিচ্ছি আর খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি।’