এ যেন বিশ বছর আগের এক সন্ধ্যা ফিরে এলো আবার। জোহানেসবার্গে সেদিন ফাইনাল হেরে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার বুঝে নিয়েছিলেন সেই আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শচীন টেন্ডুলকার। কাকতালীয় ব্যাপার ২০ বছর পর আবারও ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছেন এক ভারতীয়। তিনি বিরাট কোহলি। শচীনের মতোই ফাইনাল হেরেছেন তিনিও। দুজনেই ছিলেন নিজ নিজ আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। দুজনেই বিশ্বকাপ আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন।
ফাইনাল হারের পর বিমর্ষ কোহলিকে ডেকে নেওয়া হয় টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে। তবে এদিন হাসিমুখে দেখা যায়নি কোহলিকে। বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৭৬৫ রান করেও ফাইনালে হারের কষ্ট নিয়ে মঞ্চ ছাড়তে হয়েছে তাকে। টুর্নামেন্ট সেরার এই পুরস্কার জেতার লড়াইয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী মোহাম্মদ শামিকে। পেছনে ফেলেছেন কুইন্টন ডি কক কিংবা রাচীন রবীন্দ্রর মত তারকাকে।
পুরো আসরে একের পর এক রেকর্ড ভেঙেছেন ৩৫ বছর বয়েসী বিরাট কোহলি। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন ভারতের এই মারকুটে ব্যাটার। করেছেন তিন শতক। রান করেছেন ৭৬৫। এমনকি এবারের আসরে একটি উইকেটও নিজের করে নিয়েছেন কোহলি।
সবমিলিয়ে বিরাটের এবারের বিশ্বকাপ পর্বটা ছিল মনে রাখার মতোই। ১১ ম্যাচে ৬ অর্ধশতক, ৩ শতকসহ করেছেন ৭৬৫ রান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক টুর্নামেন্টে এটাই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এমনকি এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ১১ ইনিংস ব্যাট করে ৯টি ইনিংসেই কমপক্ষে ৫০ রান করেছেন কোহলি।