ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করেছিল চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রায় তিন মাস হয়ে গেলেও রক্তক্ষয়ী এ সংঘাতের কোনো কূলকিনারা হয়নি। দুই পক্ষই এখনো নিজ নিজ অবস্থানে অনড়। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযানের পর পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনের সেনারাও। এতে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু ইউক্রেনের বাইরে সারা বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব পড়ছে।
খাদ্যশস্য আমদানির ক্ষেত্রে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সংঘাত শুরুর পর ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য ও তেলবীজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্য আমদানিও হুমকির মুখে পড়েছে। কারণ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনার জেরে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর ফলে সারা বিশ্বেই খাদ্যশস্যের দাম বেড়ে গেছে। বিশ্বের বহু দেশে মুদ্রাস্ফীতি আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে পড়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে।
চলতি বছরের শুরুতে গমের দাম বেড়েছিল ৫৩ শতাংশ। গত ১৬ মে তা আরও ৬ শতাংশ বেড়েছে। মহামারী করোনাভাইরাস, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে বিশ্ব খাদ্য ব্যবস্থা এমনিতেই নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। ইউক্রেন-রুশ সংঘাত সেটিকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে। সামনের মাসগুলোতে বিশ্বে খাদ্য ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিবও, যে ঘাটতি কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ২৫০ মিলিয়ন মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে।