1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন

বিশ্বের প্রথম নারী হিসেবে শত বিলিয়ন ডলারের মালিক

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিশ্বের প্রথম নারী হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক হলেন ফরাসি বিলাসবহুল সৌন্দর্যসামগ্রী কম্পানি লরিয়েলের উত্তরাধিকারী ফ্রাঁসোয়া বেতেঁকু মাইয়া। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী ফরাসি এই নারী এখন বিশ্বের দ্বাদশ শীর্ষ ধনী।
ফ্রাঁসোয়া বেতেঁকুর দাদা লরিয়েল কম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। শেয়ারবাজারে কম্পানিটির অবস্থান কয়েক দশকের মধ্যে সেরার তালিকায় উঠতে যাচ্ছে।
করোনা মহামারি কেটে যাওয়ার পর কম্পানিটির ব্যবসা আগের জায়গায় ফিরে এসেছে। বৃহস্পতিবার প্যারিসে লরিয়েলের শেয়ারের দাম ছিল রেকর্ড উচ্চতায়।
৭০ বছর বয়সী ফ্রাঁসোয়া বেতেঁকুর সম্পদ ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী ১০০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। তবে সম্পদের বিবেচনায় তিনি এখনো ফরাসি প্রতিপক্ষ বেখনাখ আহনোর চেয়ে অনেকটাই পেছনে।
১৭৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের অধিকারী বেখনাখ আহনো বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় আছেন দ্বিতীয় স্থানে। বেখনাখ আহনো হলেন বিশ্বের বৃহত্তম বিলাসবহুল পণ্য উৎপাদনকারী গোষ্ঠী এলভিএমএইচের প্রতিষ্ঠাতা। ফেন্ডি ও লুই ভিতোঁসহ বিশ্বখ্যাত কয়েকটি ব্র্যান্ডের মালিক এলভিএমএইচ গোষ্ঠী।
ফ্রাঁসোয়া বেতেঁকু মাইয়া লরিয়েলের পরিচালনা বোর্ডের ভাইস চেয়ারপারসন।
তিনি ও তাঁর পরিবার লরিয়েলের একক বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার। প্রায় ৩৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক তাঁরা। ২০১৭ সালে মা লিলিয়ান বেতেঁকু মারা যাওয়ার পর একক উত্তরাধিকারী হন ফ্রাঁসোয়া।
ফ্রাঁসোয়ার মা লিলিয়ান বেতেঁকুর নাম নিয়মিতভাবে ফ্রান্সের ধনকুবেরদের শীর্ষে থাকত। ফরাসি নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতেন তিনি।
মিডিয়ার নজরে থাকাও উপভোগই করতেন। তবে জীবনের শেষদিকে তিনি তাঁর একমাত্র সন্তান ফ্রাঁসোয়ার সঙ্গে প্রকাশ্য লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন। ফ্রাঁসোয়া অভিযোগ করেছিলেন, ফরাসি সমাজের উঁচু ধাপে চলাফেরা করা এক আলোকচিত্র শিল্পী তাঁর মায়ের মানসিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছিলেন। অন্যদিকে এক টিভি সাক্ষাৎকারে মা লিলিয়ান বেতেঁকু বলেছিলেন, ‘মেয়েটা আমার মৃত্যুটা ত্বরান্বিত না করে ধৈর্য ধরে আরেকটু অপেক্ষা করতে পারত।’
২০১১ সালে আদালত লিলিয়ানের এক ধরনের ডিমেনশিয়া (স্মৃতিবিভ্রাটের রোগ) থাকার কথা উল্লেখ করে তাঁর সম্পদ ও আয়ের ওপর মেয়ে ফ্রাঁসোয়াকে নিয়ন্ত্রণ দেয়।
ফ্রাঁসোয়া বেতেঁকু বিশ্বের নামিদামি ও ধনীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার চেয়ে নিভৃত জীবনযাপন বেশি পছন্দ করেন বলে মনে করা হয়। বলা হয়, তিনি দিনে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত পিয়ানো বাজান। বাইবেল নিয়ে বিশ্লেষণ এবং গ্রিক দেবতাদের বংশতালিকার বিষয়ে দুটি বইও লিখেছেন ফ্রাঁসোয়া।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি