যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সাইবার ক্রাইমের মাস্টারমাইন্ড’ হিসাবে অভিহিত করেছে কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়া। শনিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে আমেরিকাকে সাইবার ব্যাংক ডাকাত বলে অভিহিত করেছে। বিশ্বজুড়ে ব্যাংক হ্যাক করার ক্ষেত্রে পিয়ংইংয়ের প্রচেষ্টা সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেছে উত্তর কোরিয়া।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশ করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনলাইন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে উত্তর কোরিয়া সরকারের কোন যোগসূত্র নেই। উত্তর কোরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক যে ব্যাংক হ্যাকিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে সে সবের কোন সত্যতা নেই। এগুলো যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা প্রচারিত বেআইনী গুজব ছাড়া কিছুই নয়।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এবং এফবিআই সহ তিনটি ফেডারেল এজেন্সি ২৬ আগস্ট জারি করা একটি সতর্কতায় বলেছিল যে, উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা বিস্তৃত পরিসরে বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলা চালিয়ে একাধিক দেশের ব্যাংক থেকে প্রতারণামূলক ভাবে অর্থ স্থানান্তর এবং এটিএম থেকে নগদ অর্থ উত্তোলনের চেষ্টা করেছিল। এটা উত্তর কোরিয়ার ব্যাংক ডাকাতি প্রকল্প।’
মার্কিন সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিআইএসএ) এই কাজের জন্য দায়ী গোষ্ঠীটিকে ‘বিগলবয়েজ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এটি বিশ্বব্যাপী সাইবার ক্রাইম পরিচালনা করার জন্য উত্তর কোরিয়ার রিকনোসান্স জেনারেল ব্যুরো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অনেকগুলো দলের মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়।
এই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব অর্জন করে, যা জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো দ্বারা নিষিদ্ধ পারমাণবিক অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য ব্যবহার করা হতে পারে বলে রিপোর্টে সতর্ক করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছে যে, ‘সাইবার স্পেসে অপরাধমূলক কাজকর্মের প্রতিটি রূপ ও আকারের বিরোধিতা করা তাদের রাষ্ট্রীয় অবস্থান এবং এই ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের জন্য আমাদের দেশে সংহত আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে। যাদের কাজ সাইবার ক্রাইম নির্মূল করা।’
পিয়ংইয়ং ওয়াশিংটনকে বিশ্বের বৃহত্তম ‘সাইবার ডাকাত’ বলে দাবি করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য ভন্ডামি করেছে এবং বিশ্বের অন্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন সাইবার যুদ্ধ চালানোর জন্য ইন্টারনেটের অপব্যবহার করছে।
সূত্র : কোরিয়া জংঅং ডেইলি।