২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ৮০ শতাংশ আফিম আফগানিস্তানে উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত দপ্তর (ইউএনওডিসি)।
সোমবার (২৬ জুন) জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত দপ্তর এক প্রতিবেদনে বলেছে, আফগানিস্তানে আনুমানিক ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন মাদক সেবনকারী রয়েছে, যা আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এই দাবি অস্বীকার করে বলেছেন, “এখানে আফিম উৎপাদন নিয়ে কোনো গবেষণা করা হয়নি। আফিম চাষ নিষিদ্ধ হওয়ার পর দুই বছর হয়ে গেছে। আমি নিশ্চিত যে, এক শতাংশও চাষ করা হয়নি, যদিও চাষ করা হযতো, তা নির্মূল করা হয়েছে। ২০২৩ সালে আমরা আফগানিস্তানকে আফিম চাষ থেকে সম্পূর্ণ বিরত রেখেছি। সুতরাং ৮০ শতাংশ আফিম চাষের তথ্যটি সঠিক না।”
টোলোনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে আগস্ট মাসে আফগানিস্তানে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে, দেশের বেশিরভাগ ওষুধ চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলো সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওয়াইস নাসেরি বলেন, “আফিমের চাষ এবং মাদকের উৎপাদন ও পাচারের উপর নিষেধাজ্ঞায় আন্তর্জাতিক নজরদারি থাকা সত্ত্বেও যদি এটি বাড়তেই থাকে, তাহলে বুঝতে হবে এখানে আন্তর্জাতিক সংস্থাও জড়িত।”
অপর এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান হকিয়ার বলেন, “ইসলামী নেতার আদেশের ভিত্তিতে মাদকের চাষ ও পাচার হ্রাস করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আফগানিস্তানকে এ ব্যাপারে যেমন সাহায্য করা দরকার তেমন করেনি।”
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকরা বলেছেন, তালেবান কর্তৃপক্ষ তাদের আফিমের ফসল ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বারবার সরকারের কাছে বিকল্প ফসল চাষের ব্যবস্থা করে তাদের সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন।