২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। বাংলাদেশসহ এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২২৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাসটি ।
নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে কোনোভাবেই ভাইরাসটির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। বিশ্বজুড়ে বহু মানুষকে টিকার আওতায় আনা হলেও করোনার ছোবল থামানো যাচ্ছে না। এতে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে।
আজ শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরো ২৩ লাখ ১৪ হাজার ১৯১ জন। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরো ১০ হাজার ৯২৭ জনের।
এর আগে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হন আরও ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৯৮৩ জন। একই সময়ে মৃত্যু হয় আরো ১০ হাজার ৮৬২ জনের।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ কোটি ৮৬ লাখ ৭৮ হাজার ৩৮৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭০৫ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ৩২ কোটি ৮৬ লাখ ৩ হাজার ৭৫৭ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৯২ লাখ ২৮ হাজার ৬২৮ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ৯ লাখ ৪২ হাজার ৬ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ২৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ১২ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ৭২ লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৩৭ হাজার ২৩২ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ১৫ লাখ ৩ হাজার ৬৫৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৬ জন।
পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ৮২ লাখ ২০ হাজার ৫১৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৫১ জন।
আক্রান্তের তালিকায় রাশিয়া ষষ্ঠ, তুরস্ক সপ্তম, জার্মানি অষ্টম, ইতালি নবম ও স্পেন দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশে অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৪০তম।