টঙ্গীর তুরাগ তীরে আজ শুক্রবার (৯ জানুয়ারি) শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সা’দ আহমদ কান্ধলভীর অনুপস্থিতিতেই ইজতেমা শুরু হয়। শুরুতেই আ’মবয়ান করেন সা’দের ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সা’দ কান্ধলভী।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এটি শেষ হবে।
ইজতেমায় ইতোমধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ঢল নেমেছে। আজ জুমার জামাতে অংশ নেবেন লাখো মুসল্লি। মাওলানা সা’দের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী এতে ইমামতি করবেন।
বুধবার দুপুর থেকেই জামাতবদ্ধ দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। দেশের ৬৪টি জেলার মুসল্লিরা তাদের জন্য নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় ১২-১৪ হাজার বিদেশি মেহমান আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করবেন বলে আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বিরা আশা প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত অর্ধশতাধিক দেশের ৩ হাজার ২৬৩ জন বিদেশি মেহমান ময়দানে তাদের জন্য নির্ধারিত নিবাসে অবস্থান নিয়েছেন।
বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মেহমানদের নিরাপত্তায় স্থাপিত গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সামনে দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও জিএমপির পক্ষ থেকে ৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি র্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১৫ হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, আমি বিশ্বাস করি তাবলিগ জামাতের সবারই চিন্তা-চেতনা, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য একটাই-তা হলো আল্লাহকে খুশি ও রাজি করা। তাবলিগ জামাতের কেউই বিশৃঙ্খলা করার মতো অসৎ চিন্তা মাথায় নিয়ে ময়দানে আসেন না। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিষয়ে তিনি বলেন, মাওলানা সাদ সাহেবের পক্ষে তাবলিগ জামাতের যারা কাজ করছেন তারা চেষ্টা করছেন তাকে আনার জন্য। সরকারের সঙ্গে তাদের কথা চলছে, আমরাও আলোচনা করছি। সমঝোতার মাধ্যমে হয়তো তাকে আনা সম্ভব হতে পারে। আমরা সেই চিন্তাটাই করছি।