টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। শুক্রবার জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ঘোষণা করেছে। তার বর্তমান মেয়াদের শেষে আরও ৫ বছর সময়কালের জন্য এই পদে থাকবেন ইথিওপিয়ার সাবেক স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ২৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই নিজের পদ ধরে রাখলেন তিনি। মোট ২৮টি দেশ তাঁর মনোনয়নে সমর্থন জানিয়েছে। করোনা সংক্রমণে চীনের প্রতি নরম মনোভাব দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। তবে সেই বিতর্ক ছায়া ফেলেনি তার পুনর্নির্বাচনে।
তবে আপাতত তার পুনর্নির্বাচিত হওয়ার কথা জানানো হলেও আগামী বছরের মে মাসে সংস্থার সাধারণ পরিষদের সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, গেব্রিয়েসুসই আফ্রিকার প্রথম প্রতিনিধি যিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর এবছরের আগস্টে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তবে তাঁর মনোনয়নের মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক আগে ফ্রান্স এবং জার্মানির সমর্থন পেয়েছিলেন।
গত দু’বছর ধরে করোনা অতিমারীর সঙ্গে লড়ছে বিশ্ব। এই কঠিন সময়কালে ‘হু’র নেতৃত্বভার ছিল ঘেব্রিয়েসুসের হাতে। তিনিই প্রথম ‘হু’ প্রধান যিনি চিকিৎসক নন। তবে জীববিজ্ঞান ও সংক্রামক অসুখের বিষয়ে তিনি প্রশিক্ষিত। জনস্বাস্থ্যের উপরে তিনি গবেষণা করেছেন। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরে অবশ্য ঘেব্রিয়েসুসের বিরুদ্ধে বিতর্কিত অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছিল মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তার অভিযোগ, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়ে চীনের দিকে ‘‘অত্যন্ত বেশি” ঝুঁকে রয়েছে ‘হু’।
তিনি বলেন, অধিকাংশ মানুষই ‘হু’-এর প্রতি অসন্তুষ্ট এবং তারা মনে করছেন এটা অত্যন্ত অন্যায়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সদস্য মাইকেল ম্যাকলও ‘হু’-এর ডিরেক্টর টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুসের চিনের প্রতি মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বরাবরই তিনি চিনের প্রতি নরম এমন অভিযোগ তোলেন তিনি।