বরিশাল: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন বরিশাল সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা। আর এ লক্ষ্য নিয়েই নির্বাচনী কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।
এদিকে দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততোই ভোটগ্রহণের আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম গুছিয়ে নিচ্ছে প্রশাসনসহ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা দপ্তরগুলো।
এরইমধ্যে ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের সংখ্যা চূড়ান্ত করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়। এবারের সিটি নির্বাচনে পারিপার্শিক দিক বিবেচনা করে ১২৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আয়তন ও ভোটারদের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে ওয়ার্ড প্রতি তিন থেকে ছয়টি ভোটকেন্দ্র থাকবে। আর মোট কেন্দ্র মিলিয়ে ভোটকক্ষ থাকবে ৮৯৪টি।
তবে বরিশাল সিটি নির্বাচনে অস্থায়ী কোনো কেন্দ্র থাকছে না বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের মিডিয়া সমন্বয়ক ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। তবে প্রয়োজনে ভোটকক্ষ বাড়ানোর কথাও জানান তিনি।
এদিকে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এরইমধ্যে পূর্ব কার্যক্রম শুরু করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশসহ (বিএমপি) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। বিএমপির সূত্র জানিয়েছে, এবারের বরিশাল সিটি নির্বাচনে মোট ১২৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সময় স্থান ও পরিবেশ বিবেচনায় ৮৮টি কেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ (অধিক ঝুঁকিপূর্ণ) ও ২৭টি গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে। আর সেইসঙ্গে ১১টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া না হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১২ জুন সিটি করপোরেশনে সংঘাতমুক্ত নির্বাচন সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানাতে না পারলেও বরিশাল সিটি করপোরেশনের সহকারী রির্টানিং অফিসার মো. মনিরুজ্জামান
জানান, ‘সাধারণ কেন্দ্রগুলোর থেকে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ (অধিক ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রগুলোতে।
সামনে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সকল কেন্দ্রেই জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়োজিত থাকবেন। আর সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো হবে, কোন ধরনের ভোটকেন্দ্রে ঠিক কতজন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। ’
ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় অধিক গুরুত্বারোপ করার কথা জানিয়ে রির্টানিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।