ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনি দীর্ঘ ২৬ দিন পর জামিন পেলেও মুক্তি মেলেনি। তিন দফা রিমান্ডের পর জামিন আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে আর্থিক মুচলেকায় জামিন আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ।
আদেশের পর থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাফটকে স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় জমান পরীমনির অপেক্ষায়। কারা কর্তৃপক্ষ জানান, ছয়টার মধ্যে জামিন আদেশ না পাওয়ায় তাকে মুক্তি দেওয়া যায়নি। তবে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরের আগে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানা যায়।
পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, আমরা পরীমনির জামিননামা দাখিল করেছি। তবে জামিননামা দাখিলের পর কিছু প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো চলছে। সেই প্রক্রিয়াগুলো শেষ হলে জামিন নামাটি প্রথমে কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) যাবে। সেখান থেকে সেটি কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছাবে। তারপর তিনি মুক্তি পাবেন। তবে আজকে তার কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আগামীকাল বুধবার তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
জামিনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, জামিন পাওয়া একটা অধিকার। তবে আমরা জামিনের বিরোধিতা করেছি। আদালত যেটা ভালো মনে করেছেন সেটাই আদেশ দিয়েছেন। এতে আমাদের কিছু করার নেই।
আপাতত পরীমনির মুক্তিতে কোনো বাধা নেই উল্লেখ করে তার আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, অভিযোগপত্র দাখিলের আগ পর্যন্ত পরীমনি জামিনে থাকতে পারবেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমনির বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র্যাব। ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
এরপর ৩ দফায় মোট ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমনিকে। প্রথম দফায় ৫ আগস্ট ৪ দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট ২ দিন এবং ৩য় দফায় ১৯ আগস্ট ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার। ১৩ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট এবং ২১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট সকাল পর্যন্ত পরীমনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন।