বুরকিনা ফাসোয় সামরিক শাসক পল হেনরি দামিবাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওর। এর পাশাপাশি সরকার ভেঙে দেওয়া, সংবিধান ও অন্তর্বর্তীকালীন সনদ স্থগিত করা, দেশব্যাপী কারফিউ জারি এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন অভ্যুত্থানকারীরা। খবর আল-জাজিরার।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ট্রাওর বলেছেন, দেশে ক্রমবর্ধমান সশস্ত্র বিদ্রোহ মোকাবিলায় অক্ষমতার কারণে দামিবাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সামরিক কর্মকর্তাদের একটি দল।
মাত্র আট মাসের ব্যবধানে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে এটি দ্বিতীয় অভ্যুত্থানের ঘটনা। দামিবা নিজেও গত জানুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোচ কাবোরকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন।
বুরকিনা ফাসো দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে। এর মধ্যে কিছু গোষ্ঠীর সঙ্গে আল-কায়েদা এবং আইএসআইএল (আইএস)-এর সম্পর্ক রয়েছে।
সেনেগাল থেকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সংবাদদাতা নিকোলাস হক জানান, বুরকিনা ফাসোর প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। দেশটিতে জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত হতাশা বেড়েই চলেছে।
গত অভ্যুত্থানের সামরিক নেতারাও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নিকোলাস বলেন, আমি ওয়াগাডুগুর রাস্তায় লোকদের সঙ্গে যখন কথা বলি, তাদের অনুভূতি ছিল ‘দেজা ভু’ (বর্তমান পরিস্থিতিতে আগেও পড়ার মতো অনুভূতি)।
ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস) শুক্রবারের অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি এমন একটি ‘অনুকূল’ সময়ে হয়েছে, যখন সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ফেরানোর দিকে অগ্রগতি হচ্ছিল।