নিজস্ব প্রকতবেদক
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সন্ত্রাস, মাদক, ধর্ষণ, দখলের অভয়ারণ্য। এখানে প্রশাসন চলে অর্থ ও উপরের ইশারায়। স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের কথা প্রশাসন আমলে নেয় না। এই উপজেলা প্রভাবশালীদের প্রভাবের দখলে। এখানে নেতায় নেতায় গ্রুপ। প্রশাসনের ভেতরে গলদ।
মাদকসেবীদের আটক করতে সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন থানা-পুলিশকে অনুরোধ করলেও সাড়া মিলে না। আর মাদকসেবী, ব্যবসায়ী ও দখলবাজরা একেক গ্রুপ একেক নেতা ও প্রভাবশালীদের দখলে।
উপজেলা চেয়ারম্যানের একটি গ্রুপ, পৌর মেয়রের একটি গ্রুপ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের একটি গ্রুপ, এছাড়া ঢাকার প্রশাসনের শীর্ষ পদে আসীন আছেন এমন ব্যক্তি কর্মকর্তারাও এই উপজেলায় নিজস্ব বলয় তৈরি করতে গ্রুপ সৃষ্টি করে রাখেন। কাউকে গ্রেফতার বা আটকের কাঙ্ক্ষিত সুযোগ সৃষ্টি হলেও কাজে আসে না। গ্রুপ নেতা ও ব্যক্তিরা দ্রুততার সাথে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেন বলে অনেকের অভিযোগ।
ফলে গ্রুপে গ্রুপের পাল্লায় পড়ে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। থানায় মামলা বা অভিযোগ করারও সাহস পায় না ভুক্তভোগীরা। এখলাসপুরের গৃহবধূর ঘটনায় ৩২ দিন পরও কেউ টু শব্দটি করেনি। কারণ প্রভাবশালীদের আস্কারা, আশ্রয়-প্রশ্রয়। র্যাবের অভিযানে আটককৃত গৃহবধূ নির্যাতনের প্রধান আসামি দেলোয়ারের বিরুদ্ধে বাড়িতে হামলা, নারী নির্যাতনের খবর দৈনিক জাতীয় অর্থনীতিতে গত সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছিল। অথচ থানা-পুলিশ, জেলা পুলিশকে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় বখাটে, সিএনজিচালক, দোকানের হেলপার, হকার, সাবেক বিএনপি সমর্থিতরা হাল আমলে বিভিন্ন নেতা ও ব্যক্তির প্রশ্রয়ে গ্রুপে গ্রুপে যুক্ত হয়ে যত অপকর্ম করে যাচ্ছে। স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার, পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, দলের পদের নেতারাও গ্রুপকে প্রশ্রয় দেন। এই গ্রুপগুলোর মূল শক্তি গ্রুপ নেতা। গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনা এই গ্রুপের শতশত অত্যাচারসহ সবকিছু মানুষ জানতো, চেয়ারম্যান, মেম্বার জানতেন, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। এই গ্রুপের ও ওয়ার্ডের মেম্বার জানতেন।
এখানে একা দায় পুলিশের নয়। পুলিশের কাছে অভিযোগ আসেনি। এটা সত্য। কিন্তু প্রধান আসমি একই এলাকায় সপ্তাহ আগে যে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছিল, সেটি সংবাদ হয়েছিল। তারপরও পুলিশ দায় এড়াতে পারে?