বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি নয় বরং উনার সুস্থতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। দেশে অথবা বিদেশে যেখানেই চিকিৎসা হোক উনি সুস্থ হয়ে সকলের মাঝে ফিরে আসুন এটাই আমাদের প্রত্যাশা ।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেয়ার জন্য সব সময় প্রস্তুত। খালেদা জিয়াকে তাঁর পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ও সেখানে তাঁর সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেগম জিয়া দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তিনি বাংলাদেশের একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, তিনি করোনাকে পরাভূত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে যান, এটিই মহান স্রষ্টার কাছে আমার প্রার্থনা।
বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে আমাদের সরকার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই আন্তরিক। যখন বেগম জিয়া জেলখানায় ছিলেন মানবিক কারণে শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাহী ক্ষমতা বলে জেলখানাতে খালেদা জিয়াকে সহযোগিতা করার জন্য একজন মহিলাকে সাথে থাকার অনুমতির ব্যবস্থা করেন; যেটা আইনে নেই। আজকে খালেদা জিয়া অসুস্থ। তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায়। তাঁর সুচিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছেন তাঁর পরিবার। প্রধানমন্ত্রী সেটা বিবেচনা করছেন। খালেদা জিয়ার ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথেষ্ঠ সহানুভূতিশীল। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন। আমরা প্রত্যাশা করি, দেশে অথবা বিদেশে যেখানেই চিকিৎসা হোক বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে উঠুন।
কিন্তু তাঁর অসুস্থতার ধরন প্রকরণ নিয়ে একটি ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি রাজনৈতিক অসুস্থতার এক ভিন্ন রূপ বলেই আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি বেগম জিয়ার অসুস্থতা এবং চিকিৎসার বিষয়টি সম্পূর্ণ মানবিক। এটি রাজনীতির ঊর্ধ্বে। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে মূল বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রকাশিত হয়েছে; যেটা নিয়ে জনমনে একধরণের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে সংশয় তৈরি করা কিংবা রাজনীতি করা কারোই উচিত নয়।
বেগম খালেদা জিয়া করোনা পরবর্তী সকল ধরনের শারীরিক জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন সেটাই প্রত্যাশা।
লেখক: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ