পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বেনাপোল এক্সপ্রেসকে টার্গেট করে অগ্নিসংযোগ ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এ জঘন্য অপরাধীদের খুঁজে বের করতে আমরা কোনো ত্রুটি রাখব না।
এ অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। দেশের আইন অনুযায়ী দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন, দেশের জনগণ যখন একটি উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অগ্নিসংযোগের একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। সংযোগ ও অগ্রগতির প্রতীক বেনাপোল এক্সপ্রেসকে ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে গোপীবাগ কাঁচাবাজার এলাকা দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়ার পথে ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো এ জঘন্য কর্মকাণ্ডে দুই শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ নিন্দনীয় ঘটনা নিঃসন্দেহে বিদ্বেষপূর্ণ অভিপ্রায়ে সংঘটিত হয়েছে, যা আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের একেবারে হৃদয়ে আঘাত করে।
ড. মোমেন বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্ধারিত নির্বাচনের ঠিক এক দিন আগে এই ট্র্যাজিডি ঘটেছে। এটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উৎসব এবং নিরাপত্তাকে বাধা দেওয়ার অভিপ্রায় দেখায়। এটি গণতন্ত্রের প্রতি অবমাননা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর আক্রমণ এবং আমাদের নাগরিকদের অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। একটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার এ ইচ্ছাকৃত কাজ, যেখানে নিরপরাধ যাত্রীরা অকল্পনীয় আতঙ্কের শিকার হয়েছেন এবং সহযাত্রীদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারার দৃশ্য সহ্য করতে বাধ্য হয়েছেন। এটি ক্ষমার অযোগ্য ও একটি সম্পূর্ণ জঘন্য কাজ। জনসাধারণের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার এ নির্মম প্রচেষ্টা আমাদের গণতন্ত্রের চেতনা এবং আসন্ন নির্বাচনে আমাদের নাগরিকদের উৎসবমুখর অংশগ্রহণের অবমাননা। ট্রেনে আগুন লাগিয়ে মানুষ পোড়ানোর সহিংসতার এমন ঘটনা আমরা আগেও প্রত্যক্ষ করেছি। এটি আমাদের সমগ্র সমাজের বিবেককে হতবাক করেছে, প্রকৃতপক্ষে সমগ্র বিশ্বেরও।