বেলারুশের শিল্প উপমন্ত্রীর সাথে টিপু মুনশি’র বৈঠক । তৈরী পোশাক, ঔষধ, পাট ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা চায় বাংলাদেশ ।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেন, বেলারুশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবচনা রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল পারস্পরিক দেশ সফর করলে কোন কোন খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা যায়, তা নির্ধারণ করা সহজ হবে। এ জন্য উভয় দেশের প্রতিনিধি নিয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ এর সহযোগিতা নিয়ে বিনিয়োগে ও বাণিজ্যের খাত গুলো নির্ধারণ করা সম্ভব। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে বড় ব্যবধান রয়েছে। গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশ বেলারুশে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৪.৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ১৪৭.৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়া জাত পণ্য এবং ঔষধ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা আছে, কিন্তু শুল্ক জটিলতার কারনে প্রত্যাশা মোতাবেক রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। বেলারুশ সরকার এ সকল পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে বাংলাদেশের রপ্তানি অনেক বাড়বে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (১৮ সার্চ) ঢাকায় সফররত রেলারুশের শিল্প বিষয়ক উপমন্ত্রী ডিমিট্রি হ্যারিনটনচিক(উসরঃৎু ঐধৎরঃড়হপযরশ) এর নেতৃত্ব আগত প্রতিনিধি দলের সাথে মত বিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেক হাসিনার নির্দেশণায় বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এ সকল ইকোনমিক জোনে পাওয়ার, আইসিটি, কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতে বেলারুশ বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশ সরকার বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষনীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। বেলারুশ এ সকল সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। এছাড়া, বেলারুশ কৃষি ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।
সফররত বেলারুশেন শিল্প উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরপূর্তি অনুষ্ঠারে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বেলারুশ কৃতজ্ঞ। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বেলারুশ বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশ বেলারুশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক অংশিদার। শুল্ক জটিলতা সমাধানে বেলারুশ সরকার কাজ করছে। বেলারুশ বাংলাদেশে পারমানবিক বিদ্যুৎ খাত, গ্রীণ ট্রান্সপোর্ট সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। কৃষি ভিত্তিক যন্ত্রপাতি উৎপাদন, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন এবং কৃষি ম্যাকানিকাল খাতে যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে চায় বেলারুশ।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।