এমনকি ভারতও রয়েছে আমাদের নিচে, তাদের অবস্থান ১৩তম।উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যও আছে আমাদের চেয়ে বেশি রিস্কে। চারটি দেশই রয়েছে মিডিয়াম রিস্কে। আমরা ভালো কিছু করতে পেরেছি, যা বিশ্বের অনেক দেশের কাছে ঈর্ষণীয়।
এটিইউ প্রধান বলেন, ২০১৩ সালে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী লেখকদের ওপর হামলা শুরু করে, সঙ্গে যোগ দেয় নিউ জেএমবি। ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান হামলা ছিল সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদবিরোধী জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন।
২০১৯ সালে এটিইউ কার্যক্রম শুরু করে একটি বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে। প্রথম মাত্র ৬০০ জনবলে এটিইউর যাত্রা শুরু। এরপর কভিড মহামারি, এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু। সারা দেশেই অর্থনৈতিক কৃচ্ছ্রসাধন নীতি গ্রহণ করা হয়, যে কারণে এটিইউ আর সম্প্রসারণে যেতে পারেনি।
সীমিত অবস্থানে থেকেও দেড় শতাধিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৩০০ জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছে এটিইউ। এ ছাড়া অনেক সাজাপ্রাপ্ত, যুদ্ধাপরাধীসহ সেনসেশনাল মামলার আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সফট ও হার্ড অ্যাপ্রোচের আলোকে কাজ করছে এটিইউ।
তিনি আরো বলেন, বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে অনেক বেশি কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব। কিভাবে জঙ্গিকে শনাক্ত করা যায়, শিক্ষকদের দায়িত্ব কী, ছেলে-মেয়েদের চলাফেরায় কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, তা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব। বিট ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রমকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে জঙ্গিবাদ দমন করা যায়, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কানাডিয়ান হাইকমিশনের পলিটিক্যাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের প্রতিনিধি ব্রাডলি কোর্টস বলেন, কানাডায়ও বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং রয়েছে। বাংলাদেশে উগ্রবাদ জঙ্গিবাদোর বিরুদ্ধে বিট পুলিশিং খুবই আশাব্যঞ্জক ফল বয়ে এনেছে।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন এটিইউর ডিআইজি (অ্যাডমিন) মফিজ উদ্দিন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ, ঢাকার ইউএনওডিসির অফিসার ইনচার্জ শাহ মোহাম্মদ নাহিয়ান, এটিইউর ডিআইজি (অপারেশনস) মনিরুজ্জামান প্রমুখ।