মোঃ দেলোয়ার হোসেন: গত ৫ই আগষ্ট দেশে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে যে গনভ্যুথান ঘটে তার নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন, তাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বগুন এবং সাহসী সব সম্মিলিত সিদ্ধান্ত এবং ছাত্র-জনতার তাজা প্রাণের বিনিময়ে অবসান ঘটে ফ্যাসিষ্ট,গুম,খুন,লুটেরা নামক এক দানবীয় সরকারের,এরপর দেশ হয়ে পরে অভিভাবকহীন এক গভীর সংকটে, সকল সরকারী প্রতিষ্ঠান,থানা-পুলিশ,র্যাব,আনসার,বিজিপি সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তৈরী হয় গভীর নিরাপত্তাহীনতা ও অনাস্থা, সেখানেও ছাত্ররা ফিরে আসেন ত্রান কর্তার ভূমিকায়, বলিষঠ নেতৃত্ব ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশে ও জনমনে ফিরিয়ে আনেন স্বস্তি,
এখন সবচাইতে বড় যে চ্যালেঞ্জ ছাত্রদের সামনে :
১. কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্কুল কলেজ এর কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরাও প্রভাব ব্যবহার করতে অভস্থ হয়ে পড়ছে,যার প্রভাবে সমাজে বাড়তে পারে সামাজিক অস্থিরতা|
২.বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র ছাত্রীদের একাংশ জড়িয়ে পড়তে পারে নানা রকম অন্যায় এবং আর্থিক অসঙ্গতিতে|
৩.বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হলে এই সকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংঘটনের কার্যলাপ কি ভাবে চলবে|
৪.সমাজের এবং সরকারি অনেক মহল থেকে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে সরকারি বিভিন্ন কর্মকান্ডের যে সমন্বয়ের কথা বার বার বলা হচ্ছে তার সাংবিধানিক বৈধতা বা এর ভবিষ্যৎ কি|
৫.লেখা পড়া, সৃষ্টিশীলতা, উন্নত মেধাভিত্তিক চর্চা, পারিবারিক, ও সামাজিক দায়িত্বশীলতার বাইরে কি রাষ্টের দায়িত্ব তাদের জড়োনো বাড়তি কোনো চাপ হবে কি নাহ|
সম্ভাব্য প্রতিকার :
১. দ্রুত ভিত্তিতেই স্কুল কলেজ এর শিক্ষার্থীদের পাঠশালা মুখী করা।
২. সারাদেশে শুধু মাত্র বিশ্ববিদ্দালয়ের পড়ুয়া ছাত্রদের সমন্বয়ক হিসেবে এ ছবি,ফোন নম্বর,সম্বলিত পরিচয় প্রকাশ এবং সামাজিক অরাজকতা এড়াতে হট লাইন চালু কেন্দ্রীয়ভাবে।
৩. শুধু মাত্র বিশ্ববিদ্দালয়ের সমন্বয়কদেড় সরকারি দাপ্তরিক কর্মকান্ডে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান,কারণ শুধু মাত্র ছাত্র সংঘটনের কর্মী হিসাবে সরকারি কাজে পরামর্শ,হস্তক্ষেপ ভবিষ্যতে বিতর্কিত এবং আইনের চোখে মানানসই ও বৈধ হবে কি নাহ খতিয়ে দেখা উচিত,
৪.রাষ্ট্রীয় বক্তব্য,দিবস কিংবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কর্মকান্ড থেকে সম্পর্ণ বিরত ও নিরপেক্ষ থাকা, এবং পরামর্শকভিত্তিক কমিটি গঠন করে ছাত্রদের কাজের বৈধতা প্রধান অতীব জরুরি।
৫.রাষ্ট্রীয় কাজে নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্দালয়ের শিক্ষা জীবন সময়মতো শেষ করার বাদ্ধবাধকতা। এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরে বৈষম্য এবং ক্ষমতার ভারসম্য রক্ষায় দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা।