ওয়েম্বলির মত ঐতিহ্যবাহী ভেন্যুতে খেলা স্বপ্ন যে কারও। সেখানেই জাতীয় দলের হয়ে তৃতীয় ম্যাচে এনদ্রিক করলেন নিজের প্রথম গোল। ৮০ মিনিটে করা তার একমাত্র গোলেই ইংল্যান্ডকে ১-০ ব্যবধানে হারাল ব্রাজিল। ১৯৬৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে নতুন যাত্রাও শুরু হল নতুন কোচ দোরিভালের।
টানা তিন ম্যাচ হারের পর নতুন কোচ দোরিভাল জুনিয়রের অভিষেক ম্যাচে এই জয় ব্রাজিলের জন্য বড় কিছুই। রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিতে চলা এনদ্রিককে নিয়ে মাতামাতি হচ্ছে বেশকিছুদিন ধরেই। কেন তাঁকে ব্রাজিলের নতুন তারকা ধরা হচ্ছে সেটি জানান দিলেন আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমন বড় ম্যাচে। রিয়ালের বর্তমান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রিই অবশ্য গোলটার মূল কারিগর।
৮০ মিনিটে অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে তাঁর নেওয়া শট জর্ডান পিকফোর্ড পা বাড়িয়ে ফিরিয়ে দিলেও পাশাপাশি দৌড়ানো এনদ্রিক সেই বল জালে পাঠাতে মোটেও ভুল করেননি। ৭১ মিনিটে রোদ্রিগোর বদলী নেমেছিলেন। ৯ মিনিটের মধ্যেই পুরো আলো কেড়ে নিয়েছেন। প্রথমার্ধে পিকফোর্ডকে পার করেও ভিনিসিউস বল জালে পাঠাতে পারেননি শটে গতি কম থাকায়।
পেছন থেকে এসে গোললাইন থেকে সে বল ফিরিয়েছেন কাইল ওয়াকার। যদিও এই করতে গিয়েই পায়ের মাংসপেশিতে চোট পেয়েছেন, পরে তাঁকে মাঠও ছাড়তে হয়। ভাগ্য সহায় হয়নি লুকাস পাকেতারও। বাম দিকের পোস্টে লেগে ফেরে তাঁর শট। ওদিকে জুড বেলিংহামকে সামলে রেখেছিল ব্রাজিলের ডিফেন্স।
অভিষিক্ত অ্যান্থনি গর্ডনের শট ফিরিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে পোস্ট অক্ষত রাখেন পাউলো বেন্তো। আর শেষ দিকে এনদ্রিকের সেই ঝলকেই ব্রাজিলের দারুণ স্বস্তির এক জয়।