নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সমর্থকদের সংঘর্ষের পর মাঠে গড়িয়েছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ। এখন চলছে ম্যাচের বিরতি। কোনো দলই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি প্রথমার্ধে। তবে ক্ষণে ক্ষণে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দু’দলের খেলোয়াড়রা। প্রথমার্ধে দু’দল ফাউল করেছে ২২টি। যার মধ্যে ১৬টিই করেছে ব্রাজিল।
ঐতিহাসিক মারাকানায় দুদলের জাতীয় সংগীতের সময় স্টেডিয়ামের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গ্যালারিপানে ছুটে যান দু’দলের ফুটবলাররা। কিন্তু প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হোন মেসি-মারকুইনোসরাও। একপর্যায়ে মাঠ ছেড়ে লকাররুমে চলে যান আর্জেন্টিনা দলের সব ফুটবলার। পরে মাঠে নেমে তর্কে জড়িয়ে পরতে দেখা যায় দুদলের ফুটবলারদের।
তবে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের আধা ঘন্টা পর শুরু হয় সুপার ক্ল্যাসিকো। ২০২১ সালে কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে এ মারাকানা স্টেডিয়ামে দুদলের ম্যাচ বাতিল হয়েছিলো। সেবার করোনায় কয়েকজন আর্জেন্টাইন ফুটবলারের বিপক্ষে কোয়ারেন্টিন নীতি ভাঙ্গার অভিযোগ তুলে তাদের খেলতে দিতে বাধা দেয় ব্রাজিলের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রতিবাদে খেলতে অস্বীকৃতি জানায় আর্জেন্টিনা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় খেলার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ম্যাচটি শুরু হয় সকাল ৭টায়। শক্তির বিচারে স্বাগতিকদের চেয়ে বেশ এগিয়ে থেকেই এদিন মাঠে নামে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমার্ধে ৬১ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলমুখে মাত্র ৩টি শট করতে সক্ষম হয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। কিন্তু একটিও লক্ষ্যে ছিল না। অন্যদিকে ব্রাজিল ৩৯ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলমুখে ৪টি শট করে যার একটি ছিল লক্ষ্যে।
ব্রাজিল একাদশ:
অ্যালিসন, এমারসন, মার্কুইনহোস, গ্র্যাব্রিয়েল, অগাস্টু, আন্দ্রে, গুইমারেজ, রাফিনহা, রদ্রিগো গোয়েস, মার্তিনেল্লি ও গ্র্যাব্রিয়েল জেসুস।
আর্জেন্টিনা একাদশ:
এমি মার্টিনেজ, মলিনা, ওটামেন্ডি, রোমেরো, মার্কাস আকুনা, এনজো, ডি পল, ম্যাক অ্যালিস্টার, জিওভানি লো সোলসো, লিওনেল মেসি ও জুলিয়ান আলভারেজ।