1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন

ব্র্যাকের আশুরা আন্টির কাছ থেকে ওষুধ খাইয়া আমি নতুন জীবন ফিরে পাইছি

শাহীন আলম
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩

শাহীন আলম বিশেষ প্রতিনিধিঃ

গত ২০.০৬.২০২৩ তারিখ মঙ্গলবার সকাল ৯:৪০ ঘটিকা সূর্য্য আর মেঘের আলো-আঁধারি পরিবেশের মধ্যে ঘরে কি যেন করছিল সুমাইয়া আক্তার মীম । আমাদের ভেড়ামারা উপজেলার টিবি কর্মসূচির পিও কাশীনাথ দাদা তাকে ডাক দিতেই সে হাসি মাখা চোখমুখ নিয়ে বেরিয়ে এসে বললো , স্যার ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। সুমাইয়া আক্তার মীম (১৫), মাতা: মোসাঃ সালমা খাতুন (রূপপুর ইপিজেড এ কর্মরত), পিতা- মোঃ করম আলী শেখ ( সৌদি আরবে কর্মরত), গ্রাম- পূর্বভেড়ামারা, ডাক- ভেড়ামারা, উপজেলা- ভেড়ামারা, জেলা- কুষ্টিয়া। আমাদের টিবি কর্মসূচির আওতায় চিকিৎসা নিয়ে এখন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে বন্ধুদের সাথে খেলা- ধূলা করার সময় মীম এর বাম পায়ের বৃদ্ধাংগুলের  পিছনে বাঁশের চটার একটি অংশ ঢুকে যায়। এতে  প্রথমে সে হালকা ব্যাথা অনুভব করলেও পরবর্তীতে আঘাত প্রাপ্ত স্থানটি ফুলে গিয়ে ব্যাথা বেড়ে গেলে প্রতিবেশীদের পরামর্শ অনুযায়ী চাঁদগ্রাম একজন কবিরাজকে দেখিয়ে ওষুধ সেবন করে কবিরাজ তাকে বিভিন্নভাবে আশ্বাস দেন ভালো হয়ে যাবে কিন্তু মীম ব্যাথায় কাতর হয়ে পড়ছিলো। পরে তার পরিবারের লোকজন স্থানীয় ডাক্তার এর কাছে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করে। ডাক্তার তাকে বিভিন্ন ওষুধ দেন এমনকি ফুলে ওঠা স্থানটি কাটাছেরাও করেন। এতেও মীম এর পায়ের সমস্যার কোন ভাল রেজাল্ট আসেনা । ভীষন মনে কষ্ট নিয়ে বাড়ীতে থাকতে হতো মীমকে কারন সে ঠিকমত স্কুলে যেতে পারতো না এবং বন্ধুদের সাথে খেলা-ধূলাও করতে পারতো না। তাই বড্ড একা হয়ে গিয়েছিলো মীম। এভাবে

কিছুদিন যাওয়ার পর তাদের এক আত্মীয়র সহযোগীতায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের একজন ডাক্তারকে দেখানো হয়। ডাক্তার মীমের পায়ের খারাপ অবস্থা দেখে এবং দীর্ঘ ৫-৬ মাস বিভিন্ন কবিরাজ ও ডাক্তারের চিকিৎসার ইতিহাস শুনে উক্ত ক্ষত স্থানের নমুনা নিয়ে বায়োপসি করার নির্দেশ দেন। বায়োপসি’র রেজাল্ট দেখে ডাক্তার বলেন মীমের ক্ষত স্থানে টিবি’র জীবাণু রয়েছে তাকে টিবি রোগের চিকিৎসা নিতে হবে। এরপর মীমকে বাড়ীতে নিয়ে এসে তার পরিবারের লোকজন ব্র্যাক অফিসের সাথে যোগযোগ

করে টিবি রোগের যথাযথ চিকিৎসার আওতায় এসে ব্র্যাকে এসএস মোসাঃ আশুরা খাতুনের বাড়ীতে গিয়ে গত ০৯.০৩.২০২২ তারিখ হতে ০৪.০৯.২০২২ তারিখ পর্যন্ত ০৬ (ছয়) মাস ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে এসেছে। মীম বলছিলো ” মনে হচ্ছিল আর ভাল হবো না কোনদিন বন্ধুদের সাথে খেলতে পারবো না কিন্তু ব্র্যাকের আশুরা আন্টির কাছ থেকে ওষুধ খাইয়া আমি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি।

গত ২০.০৬.২০২৩ তারিখ মঙ্গলবার সকাল ৯:৪০ ঘটিকা সূর্য্য আর মেঘের আলো-আঁধারি পরিবেশের মধ্যে ঘরে কি যেন করছিল সুমাইয়া আক্তার মীম । আমাদের ভেড়ামারা উপজেলার টিবি কর্মসূচির পিও কাশীনাথ দাদা তাকে ডাক দিতেই সে হাসি মাখা চোখমুখ নিয়ে বেরিয়ে এসে বললো , স্যার ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। সুমাইয়া আক্তার মীম (১৫), মাতা: মোসাঃ সালমা খাতুন (রূপপুর ইপিজেড এ কর্মরত), পিতা- মোঃ করম আলী শেখ ( সৌদি আরবে কর্মরত), গ্রাম- পূর্বভেড়ামারা, ডাক- ভেড়ামারা, উপজেলা- ভেড়ামারা, জেলা- কুষ্টিয়া। আমাদের টিবি কর্মসূচির আওতায় চিকিৎসা নিয়ে এখন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে বন্ধুদের সাথে খেলা- ধূলা করার সময় মীম এর বাম পায়ের বৃদ্ধাংগুলের  পিছনে বাঁশের চটার একটি অংশ ঢুকে যায়। এতে  প্রথমে সে হালকা ব্যাথা অনুভব করলেও পরবর্তীতে আঘাত প্রাপ্ত স্থানটি ফুলে গিয়ে ব্যাথা বেড়ে গেলে প্রতিবেশীদের পরামর্শ অনুযায়ী চাঁদগ্রাম একজন কবিরাজকে দেখিয়ে ওষুধ সেবন করে কবিরাজ তাকে বিভিন্নভাবে আশ্বাস দেন ভালো হয়ে যাবে কিন্তু মীম ব্যাথায় কাতর হয়ে পড়ছিলো। পরে তার পরিবারের লোকজন স্থানীয় ডাক্তার এর কাছে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করে। ডাক্তার তাকে বিভিন্ন ওষুধ দেন এমনকি ফুলে ওঠা স্থানটি কাটাছেরাও করেন। এতেও মীম এর পায়ের সমস্যার কোন ভাল রেজাল্ট আসেনা । ভীষন মনে কষ্ট নিয়ে বাড়ীতে থাকতে হতো মীমকে কারন সে ঠিকমত স্কুলে যেতে পারতো না এবং বন্ধুদের সাথে খেলা-ধূলাও করতে পারতো না। তাই বড্ড একা হয়ে গিয়েছিলো মীম। এভাবে

কিছুদিন যাওয়ার পর তাদের এক আত্মীয়র সহযোগীতায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের একজন ডাক্তারকে দেখানো হয়। ডাক্তার মীমের পায়ের খারাপ অবস্থা দেখে এবং দীর্ঘ ৫-৬ মাস বিভিন্ন কবিরাজ ও ডাক্তারের চিকিৎসার ইতিহাস শুনে উক্ত ক্ষত স্থানের নমুনা নিয়ে বায়োপসি করার নির্দেশ দেন। বায়োপসি’র রেজাল্ট দেখে ডাক্তার বলেন মীমের ক্ষত স্থানে টিবি’র জীবাণু রয়েছে তাকে টিবি রোগের চিকিৎসা নিতে হবে। এরপর মীমকে বাড়ীতে নিয়ে এসে তার পরিবারের লোকজন ব্র্যাক অফিসের সাথে যোগযোগ

করে টিবি রোগের যথাযথ চিকিৎসার আওতায় এসে ব্র্যাকে এসএস মোসাঃ আশুরা খাতুনের বাড়ীতে গিয়ে গত ০৯.০৩.২০২২ তারিখ হতে ০৪.০৯.২০২২ তারিখ পর্যন্ত ০৬ (ছয়) মাস ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে এসেছে। মীম বলছিলো ” মনে হচ্ছিল আর ভাল হবো না কোনদিন বন্ধুদের সাথে খেলতে পারবো না কিন্তু ব্র্যাকের আশুরা আন্টির কাছ থেকে ওষুধ খাইয়া আমি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি