রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) জোন-২/১ এর ইমারত পরিদর্শক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৮ সালে রাজউকে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক বনে গেছেন তিনি। তার দায়িত্বাধীন এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের ত্রুটি বের করে ভবন মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন ইমারত পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন। শুধু তাই নয়, অবৈধ ইমারত নির্মাণে সহযোগিতা করে দেয়া এবং অকুপেন্সী সনদ পাওয়ার অযোগ্য ভবনগুলোকে অবৈধভাবে অকুপেন্সী সনদ পাইয়ে দিয়ে ভবন মালিকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এভাবেই চাকরি জীবনের মাত্র ৫ বছরেই কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন ইমারত পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন। অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ক্রয় করেছেন একাধিক প্লট-ফ্ল্যাট। এছাড়াও মামুনের রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর আফতাবনগরে ১১০০ স্কয়ার ফিটের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে ইমারত পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুনের (DFL Lake View Cottage, Flat no: C-8, Block: D, Road: 05, Plot: 1, 3 & 5, Sector: 05, Aftabnagar, Dhaka.)। যার বর্তমান বাজার মূল্য অর্ধ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে টয়োটা ইয়ারিস ক্রসের সোনালী রঙের একটি গাড়ি ৪৫ লাখ টাকায় ক্রয় করেছেন মামুন। গাড়ি নং: ঢাকা মেট্রো-ঘ-২২-০৭৩৯। গাড়িটি নিজ নামেই রেজিস্ট্রেশন করেছেন মামুন। সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত ইমারত পরিদর্শক মামুন এর কাছে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টনের একটি আবাসিক হোটেলে মাদক এবং জুয়ার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কিছু গুরুতর অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। যার বিস্তারিত থাকবে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকার পরবর্তী প্রতিবেদনে।