শিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ভারতকে ৬ রানে হারাল বাংলাদেশ। এ জয়ের মাধ্যমে এশিয়া কাপে ১১ বছর পর ভারতের বিপক্ষে জয় পেল টাইগাররা। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান তুলে বাংলাদেশ। জবাবে ২৫৯ রানে থামে ভারত।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটাই ভালো হয়নি ভারতের। শুরুতেই দুই ভারতীয় ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠান অভিষিক্ত টাইগার পেসার তানহিম হাসান সাকিব। শূন্যরানে রোহিত ও ৫ রানে তিলক ভার্মা আউট হন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৫৫ রান। ১৯ রানে লোকেশ রাহুল ও ৫ রানে ইষাণ কিষাণ আউট হন।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে সূর্যকুমার যাদবকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন ওপেনার শুভমান গিল। ৩৪ বলে ২৬ রান করে আউট হন সূর্যকুমার। রবিন্দ্রো জাদেজার ব্যাট থেকে আসে ৭ রান। এদিকে ফিফটির পর ব্যক্তিগত শতক পূরণ করেন গিল। শেখ মাহেদির বলে আউট হওয়ার আগে করেন ১২১ রান।
অষ্টম উইকেট জুটিতে শার্দুল ঠাকুরকে নিয়ে ৪০ রানের জুটি গড়েন অক্ষর প্যাটেল। কিন্তু আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি তারা। ১১ রানে ফেরেন শার্দুল। আর অক্ষর প্যাটেল আউট হন ৪২ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুটি উইকেট নেন তানহিম হাসান সাকিব।
এর আগে কলম্বোতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ সামির করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে কোনো রান না তুলেই সাজঘরে ফিরলেন টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস। রানের দেখা পাননি তিনি। পরের ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরের পথ ধরেছেন তানজীদ হাসান তামিম। তিনি করেন ১৩ রান।
ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। একটি চার হাঁকিয়েই সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। এদিকে কিছুক্ষণ ক্রিজে সাকিবকে সঙ্গ দেওয়া মেহেদি হাসান মিরাজ আউট হয়েছেন ১৩ রানে।
মাত্র ৫৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও তাওহীদ হৃদয়। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ১০১ রানের জুটি। ফিফটি পূরণের পর সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তিনি।
ফিফটির দেখা পেয়েছেন তাওহীদ হৃদয়ও। কিন্তু এরপর আর ইনিংসটি দীর্ঘয়িত করতে পারেননি তিনি। ৮১ বলে ৫৪ রানে থামেন এই ব্যাটার। এছাড়া শামীম পাটোয়ারি আউট হন ১ রানে।
হুট করে তিন উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে দল। কিন্তু অষ্টম উইকেট জুটিতে আপনতালে খেলতে থাকেন নাসুম আহমেদ ও শেখ মাহেদি হাসান। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ৪৫ রানের জুটি। তাতেই আড়াইশর ছোঁয়া পায় দল। ছয়টি চার ও একটি চারে ৪৫ বলে ৪৪ রান করেন নাসুম। ২৩ বলে ২৯ রানে মাহেদি ও ৮ বলে ১৪ রানে তানজিম সাকিব অপরাজিত থাকেন।