1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন

ভারতের এমন সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক : কৃষিমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩

প্রস্তুতির সুযোগ না দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি এ-ও বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত বাংলাদেশকে সুযোগ দেওয়া।
আজ সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভারত কোনো ধরনের প্রস্তুতির সুযোগ না দিয়েই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত সুযোগ দেওয়া। তাদের এই সিদ্ধান্তের ফলে পেঁয়াজের বাজার কীভাবে সামলাবো সেটা মোকাবিলা করাই এখন আমাদের চ্যালেঞ্জের বিষয়।
ভারত তাদের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৪০ শতাংশ ট্যাক্স বাড়িয়েছে শুনেই দেশের বাজারে দাম বাড়িয়ে ফেলেছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন ভারতের বিকল্প বাজার হিসেবে মিসর, চায়না থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা করা হচ্ছে। চায়না, জাপান, ইরান, মিসর এসব দেশ থেকে কেউ যদি পেঁয়াজ আমদানি করতে চায় সরকার অনুমতি দেবে। এটা হলে দাম বাড়বে না।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ আমাদের দেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মশলাজাতীয় ফসল। কিন্তু পেঁয়াজের এত ব্যাপক ব্যবহার হয়, যা অনেকটা সবজির মতো। পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশের আবহাওয়া খুবই উপযোগী। তবে আমাদের আগে যেসব পেঁয়াজ ছিলো সেগুলোর উৎপাদনশীলতা কম। এরইমধ্যে আমাদের কৃষি গবেষকরা উন্নতজাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবন করেছে। সেগুলোর ফলন অনেক বেশি। প্রতি হেক্টরে ২০ টন পেঁয়াজ হয়।

তিনি বলেন, আমাদের পেঁয়াজের মূল মৌসুম হলো মার্চের শেষে ও এপ্রিলের প্রথম দিকে। সে সময় দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যায় এটা হলো আমাদের সমস্যা। পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল তাই বেশি ঘরে থাকলে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যদি পেঁয়াজ ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে পারতাম তাহলে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো সমস্যা হতো না। বড় সমস্যা হচ্ছে পেঁয়াজ গুদামে রাখা যায় না। সেজন্য আমাদের প্রায় প্রতিবছর পেঁয়াজ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম হঠাৎ কোনো বছর কমে যায়। গতবছর এতো দাম কম ছিলো। ফলে চাষিরা এবছর আবাদ করতে পারেনি। এজন্য এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা থেকে দুই থেকে আড়াই লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন কম হয়েছে। আমরা প্রথম দিকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেইনি। এতে চাষিরা ভালো দাম পেয়েছে। এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে আমদানি না করলে দেশি পেঁয়াজ কমে যাচ্ছে এবং দাম আস্তে আস্তে বাড়ছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমদানি উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমরা ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপিও দিয়েছি। কিন্তু এসেছে মাত্র ৩ লাখ টন।
কেউ কী এখন পর্যন্ত এসেছে আইপির জন্য- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি। কারণ তাদের হাতে তো আইপি আছে। সেটাই আনে না। দাম বাড়বে তবে আকাশচুম্বী হবে না বলে ধারণা করছি।
সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা কী দুর্বল- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মনিটরিং দুর্বল না। আসলে খোলা বাজার অর্থনীতি। সেখানে বাজার কতোটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়? কাজেই ইচ্ছা করলেই বাজার মনিটরিং করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। আসলে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। সরবরাহ বেশি হলে দাম অটো কমবে। এটাই হলো মূল কথা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি