নারী বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১১০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ভারতের দেয়া ২৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১১৯ রানেই থেমে যায় টাইগ্রেসদের রানের চাকা।
হ্যামিল্টনে ভারতের চ্যালেঞ্জিং স্কোরের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানে প্রথম হোঁচট খায় বাংলাদেশ। এরপর দলের স্কোর ৩৫ করতেই নেই বাংলাদেশের পাঁচ উইকেট। ব্যাটিং বিপর্যয় খাদের কিনারায় নিয়ে যায় জাতীয় দলকে। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার মিশনে নামেন সালমা খাতুন ও লতা মণ্ডল, কিন্তু তাদের পক্ষে বেশি দূর টানা সম্ভব হয়নি।
দলীয় ৭৫ রানে সালমার বিদায়ের পর দলীয় ৯৮ রানে ফেরেন লতা। আর তাতেই একেবারে ভেঙে পড়ে জাতীয় দলের ব্যাটিং লাইন আপ। শেষ পর্যন্ত সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১১৯ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংসের চাকা। আর ভারত সেই সুবাদে পায় ১১০ রানের বড় জয়।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল ভারত। টাইগার বোলারদের পাত্তা না দিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। এ দুই ব্যাটারের ৭৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন নাহিদা আক্তার। ফারজানা হকের হাতে ধরা দিয়ে ৩০ রানে ফেরেন মান্ধানা।
পরের ওভারে ব্যাক টু ব্যাক আঘাত হানেন রিতু মণি। তার করা ১৬তম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ফেরেন শেফালি ও অধিনায়ক মিথিলা রাজ। শেফালি ৪২ করে আর মিথিলা রানের খাতা না খুলেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে।
এরপর উইকেটের এক প্রান্তে চলতে থাকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন। সেখানে নাম লেখান হারমানপ্রীত কৌর (১৪) ও রিচা ঘোষ (২৬)।
উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে রেখে ইয়াশটিকা ভাটিয়া তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। ফিফটি হাঁকিয়েই তিনি থেমে যান রিতু মণির শিকার বনে।
শেষতক পূজা ভাস্রাকরের ৩০ ও স্নেহ রানার ২৭ রানে ভর করে বাংলাদেশের সামনে ২৩০ রানের লক্ষ্য দাঁড় করাতে সক্ষম হয় ভারত।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট নেন রিতু মণি। দুটি নেন নাহিদা আক্তার। একটি উইকেট যায় জাহানারা আলমের ঝুলিতে।