বুধবার নতুন করে এক লাখ ১৫ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় ভারতে একদিনে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৫৫ হাজার ২৫০ জন। একইসঙ্গে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৬৩০ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার ১৭৭ জনে।
মহামারি শুরুর পর থেকে গত সোমবার ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রথমবারের মতো এক লাখের গণ্ডি পার হয়। পরদিন মঙ্গলবার প্রায় ৯৭ হাজার মানুষের শরীরে শনাক্ত হয় ভাইরাসটি।
সারা ভারতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলেও মহারাষ্ট্রের অবস্থা যেন একটু বেশিই খারাপ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে ৫৫ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ের মধ্যে সেখানে মারা গেছে ২৯৭ জন। ভারতের মোট মোট সক্রিয় রোগীর প্রায় অর্ধেক শুধু মহারাষ্ট্রেই।
মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি কর্নাটক, ছত্তীশগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলোর পরিস্থিতিরও অবনতি হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছে ছত্তীশগড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৯২১ জন। করোনার প্রথম পর্বেও এতোটা খারাপ পরিস্থিতি ছিল না রাজ্যটিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মারা গেছে ৫৩ জন।
কর্নাটকের মতো দিল্লির অবস্থাও দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ১০০ জন। গত বছর ২৭ নভেম্বরের পর এই প্রথম দিল্লির দৈনিক সংক্রমণ ৫ হাজার ছাড়াল।
উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৯৫ জন। পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশেও দৈনিক আক্রান্ত হচ্ছেন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি। অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, হরিয়ানাতেও দৈনিক আক্রান্ত ২ হাজার ছাড়িয়েছে। তেলঙ্গানা, বিহার, ঝাড়খণ্ডেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
এদিকে করোনার সংক্রমণ ভারতের নানা অংশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানী নয়াদিল্লিতে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়। এপ্রিলের ৩০ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। এসময়ে জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি এবং টিকাদান কেন্দ্রে যাওয়া ও আসা ব্যক্তিরাই কেবল রাস্তায় থাকতে পারবেন।