ভারী বৃষ্টির জেরে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। শনিবার (২০ আগস্ট) দেশটির হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং উত্তরাখণ্ডসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে এ প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
মূলত ভারী বৃষ্টির পর সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের কারণে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে।
ডেপুটি কমিশনার অরিন্দম চৌধুরীর বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে ভারী বর্ষণের পর সৃষ্ট ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যায় হিমাচল প্রদেশে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ৮ সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি-সম্পর্কিত নানা ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। মান্ডিতে ছয়জন নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডে টানা বর্ষণে চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া রাজ্যটিতে আরও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া এবং সেতু ভেসে যাওয়ায় রাজ্যটির বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ভারী বৃষ্টির জেরে ইতোমধ্যেই বন্যার কবলে পড়েছে ভারতের আরেক রাজ্য ওড়িশা। টানা বৃষ্টিতে রাজ্যটির প্রায় ৫০০টি গ্রাম ডুবে গেছে এবং এতে করে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এছাড়া ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাজ্যের কিছু অংশ বেশ ক্ষতির সম্মুখীনও হয়েছে।
ওড়িশার কর্মকর্তারা চারজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। রাজ্য সরকার ময়ূরভঞ্জ, কেন্দ্রপাড়া এবং বালাসোরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত মহানদীতে শনিবার প্রবল স্রোতে একটি নৌকা ভেসে যায়। তবে নৌকাটির আরোহী ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিতে ঝাড়খণ্ডের বেশ কয়েকটি জেলায় বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে এবং নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পশ্চিম সিংভূমে নিজ বাড়িতে মাটির দেয়াল চাপা পড়ে একজন নারী প্রাণ হারিয়েছেন।
এ ছাড়া ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের রিয়াসি জেলার বৈষ্ণো দেবী যাত্রা রোববার সকালে আবার শুরু হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে তীর্থযাত্রার ট্র্যাকে বন্যার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পরে অস্থায়ীভাবে রাতে তা স্থগিত করা হয়েছিল।