অনেকের জন্য যেমন আজকের কোনো একটা সময় হবে ভালোবাসার প্রথম প্রহর, তেমনিভাবে অনেকে উদযাপন করবেন একসঙ্গে পথচলার দিন। দুজনের পদচারণায় মুখর থাকবে শহরের নানা পথ-প্রান্তর। দু’জনে দু’জনার হাত ধরে ঘুরবে একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্ত। ফুল আর উপহারসামগ্রীর দোকানে জমবে ভিড়। ফাল্গুনের বাহারি রঙের ফুল প্রিয় মানুষটি তুলে দেবে প্রিয় মানুষের হাতে। প্রেমিকের হাত হয়ে প্রেমিকার সুবিন্নস্ত খোঁপায় উঠবে লাল গোলাপ।
ভ্যালেন্টাইন ডে’তে তারুণ্যেরই জয়জয়কার দেখা যায়। আর দিবসটির মাধ্যমে মূলত প্রেমিক-প্রেমিকা বা মানব-মানবীর চিরায়ত প্রেমকেই বোঝানো হয়ে থাকে। তবে ভালোবাসা প্রকাশের আলাদা কোনো দিনক্ষণ না থাকলেও নিজের প্রিয় মানুষটিকে অন্তত একবারের জন্য হলেও ‘ভালোবাসি’ বলতে এই দিনটিকে বেছে নেন অনেকেই। তাইতো এই দিনে নির্দ্বিধায় প্রিয় মানুষটাকে বলে ফেলা যায়- ‘ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো তোমার মনেরও মন্দিরে’; অথবা ‘তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো, ছেড়ে দেবো না’।
ভালেন্টাইন ডে আমাদের দেশে এখন ঘটা করে পালন করা হলেও এটি এসেছে পশ্চিমা দেশের সংস্কৃতি থেকে। ২৬৯ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে একজন রোমান ক্যাথলিক ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে তার প্রেয়সীকে লিখে গিয়েছিলেন ‘লাভ ফ্রম ইওর ভ্যালেন্টাইন’। তারই ধারাবাহিকতায় আজও প্রতিটি পাগলির জন্য পাগলেরা চিঠির শেষে একটি কথাই লেখে, ‘ভালোবাসি…’! যেখানেই যাক, যেভাবেই থাক, না থাকলেও দূর থেকে ধ্বনি তুলবে- ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি’।