চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার ভোট গ্রহণ শেষে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, ভালো ভোট হয়েছে। চট্টগ্রামের পটিয়ায় নির্বাচনী সংঘাতে প্রাণহানির জন্য তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীকে দায়ী করেন। তিনি দাবি করেন, খুনের ঘটনার পরও সেখানে ভোট দেওয়ার মতো পরিবেশ ছিল।
আজ রোববার ৫৫টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব।
হুমায়ুন কবীর বলেন, চট্টগ্রামের পটিয়াতে ভোটকেন্দ্রের বাইরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। এটা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। প্রার্থীদের মধ্যে মারামারি হয়েছে ভোটকেন্দ্রের বাইরে, এটি ভোট গ্রহণে কোনো প্রভাব ফেলেনি। সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে।
সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার পর ভোটের পরিবেশ থাকে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘এটি হলো প্রার্থীদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা। হঠাৎ করে হয়ে গেছে, একজন মারা গেছেন। যাঁরা ভোট দেওয়ার তাঁরা ভোটকেন্দ্রে যাবেন, যে জায়গায় মারামারি হয়েছে, সেখানে যাবেন না।’
হুমায়ুন কবীর বলেন, যে দুই প্রার্থী মারামারি করেছেন, খুনের দায় তাঁদের। কারণ, তাঁরা নিজেরা মারামারি করেছেন, খুন হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সবাই জানিয়েছেন, সেখানে ভোট দেওয়ার মতো পরিবেশ ছিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন। তাঁরা বাইরে গিয়ে ঝগড়া করেছেন, সেখানে একজন নিহত হয়েছেন। সেখানে আসলে ওই মুহূর্তে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ করার সুযোগ ছিল না।
ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, পুরো দেশেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। নরসিংদীতে চারটি কেন্দ্রে, নোয়াখালীর সোনামুড়ির একটি কেন্দ্রে, শরীয়তপুরের ডামুড্যায় দুটি—মোট সাতটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়েছে। বাকি ভোটকেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতিবেদন ও গণমাধ্যমে পরিস্থিতি দেখে মনে হয়েছে ভালো ভোট হয়েছে।