শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা- খাড়ামুড়া রাস্তাটি সংস্কার সম্প্রসারন ও পাকাকরনের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। ফলে এ পথে চলাচলকারী হাজারও মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভায়াডাঙ্গা বাজার থেকে বিলভরট,মামলাকুচা,হালুয়াহাটি,বালিজুরি হয়ে খাঁড়ামুড়া পর্যন্ত এলজিইডি’র প্রায় ৯ কিলোমিটার রাস্তা। সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, ভায়াডাঙ্গা বাজার থেকে বালিজুরি বাজার পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তা গত ২বছর পর্বে পাকাকরন করা হয়। অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে নির্মাণ কাজ করায় ও উক্ত রাস্তায় বালু বুঝাই ট্রাকট্রলিও মাহিন্দ্র অবাধে যাতায়াতের কারণে রাস্তার বিভিন্ন স্হানে খানাখন্দের সৃস্টি হয়ে যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। সংস্কার সম্প্রসারন ও পাকাকরনের অভাবে এ পথে চলাচলকারী হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হালুয়াহাটি গ্রামের বিলভরট গ্রামের বাউল মিয়া,কনক মিয়া,বুলবুল মিয়া,হালুয় হাটিগ্রামের জামাল উদ্দিন,আশাফুল মুন্নার মিলন, মুসলিম উদ্দিন ও জজ মিয়াসহ আরো অনেকেই জানান,রাস্তাটি খানাখন্দের সৃস্টি হয়ে যানচলাচল অনুপযোগী হয়ে পরেছে। তাদের মতে এ রাস্তায় অটোরিকশা চলাচল করলেও রাস্তাটি খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যাতায়াতকারীদের সময় অপচয় হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থও গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। তাঁরা বলেন ৫ টাকার ভাড়া ২০ টাকা দিতে হয় তাদের। এছাড়াও সরু এপথে একটি ট্রাক প্রবেশ করলে অন্য কোন যানবাহন কেটে যাওয়ার কোনো সুযোগ পর্যন্ত থাকে না। বর্তমানে রাস্তাটি সংস্কার সম্প্রসারন ও পাকাকরনের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে হাজারও মানুষের। রানিশিমুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন রাস্তাটি সংস্কার সম্প্রসারন ও পাকাকরনের বিষয়ে উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় বহুবার আবেদন নিবেদন করা হয়েছে। কিন্ত কোন কাজে আসেনি। এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসাইনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন রাস্তাটি সংস্কার সম্প্রসারন ও পাকাকরনের বিষয়ে প্রস্তাব প্রেরন করা হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।