স্পোর্টস ডেস্ক : গতকালই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে। যে ঘটনায় রাতারাতি খল নায়কে পরিণত হয়েছেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বরিশালের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ারে সতীর্থদের সঙ্গে বাজে আচরণ করেছিলেন। বিশেষ করে নাসুম আহমেদকে দুই দফা মারতে উদ্যতও হয়েছিলেন। যে আচরণে মুশফিক সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ভীষণভাবে সমালোচিত হয়েছেন। তবে ঘটনাটির ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সকালে নাসুমের সঙ্গে হাসিখুশি ছবি দিয়ে মুশফিক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে সবার আগে আমি ম্যাচ চলাকালীন ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সম্পর্কে আমার সমস্ত ভক্ত এবং দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাইতে চাই। আমি ইতিমধ্যে আমার সহকর্মী, সতীর্থ নাসুমের কাছে খেলার পরে ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমি সর্বদা মনে রাখি যে, আমি একজন সর্বোপরি মানুষ এবং আমি যে অঙ্গভঙ্গি দেখিয়েছি, তা মোটেই গ্রহণযোগ্য ছিল না। ইনশাআল্লাহ, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, ভবিষ্যতে এটি মাঠে বা মাঠের বাইরে পুনরাবৃত্তি হবে না, জাজাকআল্লাহ খায়ের।’
ঘটনাটা ঘটেছিল বরিশালের ইনিংসের ১৩ তম ওভারে। নাসুমকে বিশাল ছক্কা মেরেছিলেন আফিফ। নাসুমের ছক্কা খাওয়াটা মুশফিক ভালোভাবে হজম করতে পারেননি। পরের বলেই আফিফ মিডউইকেটে বল ঠেলে সিঙ্গেল নিয়েছেন। তখন নিজের পজিশন ছেড়ে বল কুড়িয়ে আনতে গিয়েছিলেন নাসুম, সঙ্গে মুশফিকও। তখন বলটি হাতে তুলে নিয়েছিলেন মুশফিক-ই, কিন্তু উত্তেজিত মুশফিক বল হাতে নিয়ে উইকেটে না মেরে প্রথমে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন!
একই ঘটনা ১৭তম ওভারেও ঘটান মুশফিক। শফিকুলের বলে আফিফ উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। সেটি ধরতে উইকেটের পেছন থেকেই ছুটে যান মুশফিক। ওই ক্যাচ ধরতে ছুটছিলেন নাসুমও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাসুম দাঁড়িয়ে থেকে মুশফিককে ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আফিফের ক্যাচ ধরে মুশফিক ফের একই ভঙ্গিতে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন! যা ক্রিকেটের চেতনার সঙ্গে বড্ড বেমানান। এর পর থেকেই ফেসবুকসহ সবখানে ভীষণ ভাবে সমালোচিত হন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক!