তুরস্ক ও সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজারে ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে কর্মকর্তারা জানান, ভূমিকম্পে নিশ্চিত মৃত্যু ২৪ হাজার ৩৫২। এছাড়া আহত হয়েছে ৭৯ হাজার ৪৮৭ জন। ফলে এটি এই অঞ্চলে ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিল অন্তত ১৭ হাজার লোক।
এদিকে উদ্ধারকর্মীরা প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে ধ্বংসস্তুপের মধ্যে আটকে থাকা জীবিতদের কাছে পৌঁছাতে চেষ্টার করে যাচ্ছে।
এদিকে, তুরস্ক এবং প্রতিবেশী সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ত্রাণ ও পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংক বৃহস্পতিবার তুরস্ককে ১.৭৮ বিলিয়ন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছে।
৭.৮-মাত্রার ভূমিকম্পটি সোমবার ভোরে মানুষ ঘুমানোর সময় আঘাত করেছিল, তুর্কি কর্মকর্তারা বলেছেন, ১০টি দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশ জুড়ে ৭০,০০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা তাৎক্ষণিক সহায়তা দিচ্ছি এবং আমরা সরেজমিনে জরুরি ও ব্যাপক চাহিদার দ্রুত মূল্যায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘এটি দেশের পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠনের জন্য অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলা চিহ্নিত করবে কারণ, আমরা সেই চাহিদাগুলোকে সমর্থন দেয়ার জন্য অপারেশন প্রস্তুত করছি।’
ব্যাঙ্ক বলেছে, তুরস্কে বিদ্যমান দু’টি প্রকল্প থেকে কন্টিনজেন্ট ইমার্জেন্সি রেসপন্স কম্পোনেন্টের মাধ্যমে ৭৮০ মিলিয়নের তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়া হবে।
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক উন্নয়ন ঋণদাতা এই ব্যাংকটি বলেছে, ‘সহায়তা পৌর পর্যায়ে মৌলিক অবকাঠামো পুনর্র্নিমাণের জন্য ব্যবহার করা হবে।’
ইতোমধ্যে, বিপর্যয় থেকে পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য ১ বিলিয়ন অতিরিক্ত অপারেশন প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তুরস্কে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাম্বারতো লোপেজ বলেছেন, দেশের চাহিদাগুলো ‘ব্যাপক এবং ত্রাণ থেকে পুনর্গঠন পর্যন্ত পুরো পরিসরে বিস্তৃত।’